বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫

|

শ্রাবণ ১৫ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সংস্কারে ধীরগতি, বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় বিপাকে নগরবাসী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:০৬, ২৮ জুলাই ২০২৫

সংস্কারে ধীরগতি, বৃষ্টির জলাবদ্ধতায় বিপাকে নগরবাসী

বঙ্গবন্ধু সড়ক

নারায়ণগঞ্জে টানা বৃষ্টিতে শহরের বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও ড্রেন সংস্কার কাজের ধীরগতির কারণে ভোগান্তিতে পড়ছে সাধারণ মানুষ। 

সোমবার (২৮ জুলাই) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। 

সিটি করপোরেশনের তত্ত্বাবধানে চলমান সড়ক উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ ঠিক সময়ে শেষ না হওয়ায় অনেক সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি অবস্থাতেই পড়ে আছে। কোথাও ফেলা হয়নি ইটের খোয়া, কোথাও বা খোলা ড্রেন। এতে পথচারীদের পাশাপাশি যানবাহন চালকরাও পড়ছেন চরম দুর্ভোগে।

শহরের বঙ্গবন্ধু সড়ক, কালীরবাজার ও মাসদাইর এলাকায় ডিপ ড্রেনের কাজ চলমান রয়েছে। ড্রেনের কাজ চলমান থাকায় শহরে তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। 

এদিকে জলাবদ্ধতার ফলে অফিস, স্কুল ও বাজারের যাওয়া মানুষের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সড়কে বৃষ্টির পানি জমে ছোট ছোট গর্ত হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি তৈরি করছে। সড়ক সংস্কারের ধীরগতির কারণে পাড়া-মহল্লার সড়কগুলো দিয়ে গাড়ি চলাচলও কষ্টকর হয়ে উঠেছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় টানা বৃষ্টিতে শহরের চাষাঢ়া ও আশেপাশের এলাকায় বিভিন্ন মার্কেট ও দোকানে পানি ঢুকে পড়েছে। এর ফলে ব্যাবসায়ীদের তীব্র ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। 

চাষাঢ়া এলাকার দোকানদার মাহাবুব জানান, রাতভর বৃষ্টিতে রাস্তায় তীব্র জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। পানি দোকানেও ঢুকে গেছে। সকালে দোকান খুলতে এসে দেখি দোকানে পানি। পানিতে বেশ কিছু মালপত্রও নষ্ট হয়ে গেছে। 

বর্ষা মৌসুম ও টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিলম্বের কারণে কাজের গতি মন্থর বলে জানিয়েছে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। তবে আগামী কয়েক মাসের মধ্যে অধিকাংশ কাজ শেষ করার আশ্বাস দিয়েছেন তারা।

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জাকির হোসেন জানান, বৃষ্টির মৌসুম হওয়ায় মানুষের কিছুটা সমস্যা হচ্ছে। এতে আমরা দুঃখিত। তবে এই ডিপ ড্রেনের কাজটা সম্পন্ন হয়ে গেলে মানুষ দীর্ঘ মেয়াদে এর সুফল পাবে। তখন জলাবদ্ধতা অতীতের চেয়ে অনেকটাই কমে আসবে। 

তিনি আরও বলেন, বৃষ্টির কারণে কাজের অগ্রগতিও কম। বৃষ্টিতে এই কাজ করা সম্ভব হয় না। তবে আমরা ঠিকাদারদের  বলেছি প্রয়োজনে অতিরিক্ত লোকবল নিয়োগ করতে। যেন দ্রুত এই ড্রেনের কাজটা সম্পন্ন করা সম্ভব হয় এবং মানুষ এর সুফল পায়। মানুষের দুর্ভোগ যেন লাঘব হয়।

এদিকে দ্রুত সংস্কার কাজ সম্পন্ন না হলে নগরবাসীর দুর্ভোগ আরও দীর্ঘায়িত হবে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ।