
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে সক্রিয় হচ্ছেন ব্যবসায়ী নেতারা। বিগত সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় না থাকলেও অর্থের জোরে মাঠ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন তারা৷ অন্যদিকে দলের দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের এসকল নেতাদের অর্থের প্রভাবের সামনে দাঁড়াতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় সক্রিয় হচ্ছেন শিল্পপতি ও ব্যাবসায়ী হিসেবে পরিচিত এসকল নেতারা। অর্থনৈতিক সক্ষমতা থাকায় দলের বহু নেতাকর্মীরা এখন এসকল নেতাদের বলয়ে ভিড়তে শুরু করেছেন।
পাঁচ আগষ্টের পর দীর্ঘদিন নিষ্ক্রিয় থাকার পর সক্রিয় হয়েছেন বিএনপি নেতা শাহ্ আলম। ২০০৯ সালে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে নারায়ণগঞ্জ-৪ আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন শাহ্ আলম। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলে রাজনীতি থেকে দূরে সরে যান শাহ্ আলম।
বিগত ১৭ বছর দলের দুঃসময়ে মাঠে ছিলেন না শাহ্ আলম। ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে বিএনপির সাথে সম্পর্ক অলিখিত ভাবে ছিন্ন করেন শাহ্ আলম। মামলা থেকে নিজেকে রক্ষা করতে ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি পদ থেকে সেসময় পদত্যাগ করেন শাহ্ আলম।
২০২৪ সালে পটপরিবর্তনের পর সামনে আসেন শাহ্ আলম। ইতিমধ্যে নির্বাচনে অংশ নেয়ার ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন তিনি। বিগত সময়ে মাঠে সক্রিয় না থাকলেও টাকার জোরে বর্তমানে মাঠ নিয়ন্ত্রণে নিতে কাজ করছেন শাহ্ আলম।
এছাড়াও আলোচনায় আছেন রূপগঞ্জের কাজী মনির। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর একাধিকবার জেলা বিএনপির দায়িত্ব পেলেও সফলতা পাননি কাজী মনির। ২০১৮ সালে দলীয় মনোনয়ন নিয়ে রূপগঞ্জ থেকে নির্বাচন করেন কাজী মনির। এরপর থেকেই রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন তিনি।
২০২৪ সালের নির্বাচনের পর রাজনীতি থেকে দুরে সরে গিয়ে পুরোদমে ব্যাবসায়ে মনোনিবেশ করেন কাজী মনির। ব্যাবসা টিকিয়ে রাখতে অনানুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতি ছাড়ার মনস্থিরও করেন তিনি।
আন্দোলন সংগ্রামের উত্তাল সেই সময়ে মাঠে না থাকলেও পাঁচ আগষ্টের পর মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন কাজী মনির। অর্থের জোরে বিএনপি নেতাকর্মীদের কাছে টানতে চাইছেন এই নেতা।