
ফাইল ছবি
গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে সাংবাদিক মো. আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে নির্মমভাবে হত্যার ঘটনায় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানা গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে। জনবহুল এক এলাকায় একজন সাংবাদিককে এভাবে নির্মমভাবে হত্যা বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির করুণ চিত্র তুলে ধরে।
রবিবার ১০ আগস্ট ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ফতুল্লা থানার সভাপতি মুহাম্মাদ শফিকুল ইসলাম ও সেক্রেটারি মুহাম্মাদ জোবায়ের হুসাইনের যৌথ বিবৃতিতে এসব কথা বলেন।
নেতৃদ্বয় বলেন, মৃত্যুর পূর্বে সাংবাদিক তুহিন চান্দনা চৌরাস্তা এলাকার ফুটপাত ও দোকানপাট থেকে চাঁদাবাজির বিষয় নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ সম্প্রচার করেন এবং রাস্তার অব্যবস্থাপনার বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করার চেষ্টা করেন। এর কিছুক্ষণ পরই দুর্বৃত্তরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁকে নির্মমভাবে হত্যা করে, যা দেশের প্রতিটি সচেতন নাগরিককে হতবাক করে দিয়েছে। এটি শুধু একটি জঘন্য হত্যাকাণ্ড নয়, বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও জনস্বার্থে সত্য উচ্চারণের বিরুদ্ধে এক কাপুরুষোচিত হামলা।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, এই নৃশংস ঘটনাটি গোটা জাতিকে হতবাক করে দিয়েছে এবং রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও সাংবাদিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করেছে। সরকারের আচরণে মনে হচ্ছে তারা সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজদের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনেকরে, সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় কার্যকর, সাংবাদিকবান্ধব ও বাস্তবমুখী আইন প্রণয়ন ও কঠোর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি। বিদ্যমান আইনসমূহ অপর্যাপ্ত এবং সাংবাদিকদের ওপর নির্যাতন, হয়রানি ও হামলার ঘটনায় বিচারহীনতা অব্যাহত রয়েছে।
এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেফতারপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। প্রশাসনের গাফিলতির সুষ্ঠু তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে এবং সত্য প্রকাশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সব মহলকে কঠোর হস্তে দমন করতে হবে।