
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্পের কর্মকর্তাদের দায়িত্ব অবহেলায় দাউপুরসহ ৩ ইউনিয়নের রহিলা, আগলা, দুয়ারা, বেলদি, পুটিনা, জিন্দা, বৈলদা, উলুপ, বাগলা, আমিদা কানিবাগ, নোয়াগাঁও, মানিকপুর, তুমুলিয়াসহ বিভিন্ন এলাকার ১৫ শ হেক্টর ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকা ও জলাবদ্ধতার প্রতিবাদে স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন যুবদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ ১ আসন বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশি দুলাল হোসেন।
১১ আগষ্ট সোমবার দুপুরে দাউদপুর ইউনিয়নের কলিঙ্গা এলাকায় অবস্থিত উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্প কার্যালয়ের সামনে এ বিক্ষোভ করেন তারা। এ সময় সেচ পাম্প সচল, নিষ্কাষন খাল পরিষ্কার করা, ফসলি জমা রক্ষা করা ও বসত ঘরগুলো থেকে জলাবদ্ধতা নিরসনের দাবী করেন বিক্ষুব্ধরা।
এ সময় দুলাল হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, রূপগঞ্জের তারাবো পৌর সভা, গোলাকান্দাইল ও মুড়াপারা ইউনিয়নের বাসিন্দারা নরসিংদী নারায়ণগঞ্জ সেচ প্রকল্পের কারনে বসত ঘর সহ পানিবন্দি রয়েছে। পাশাপাশি দাউদপুরের কৃষকরা ফসলি জমি তলিয়ে থাকায় ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। চরম ভোগান্তি পোহাচ্ছেন রূপগঞ্জের জনগণ। তাই এসব সমস্যার সমাধানে অবিলম্বে দপ্তরগুলোতে প্রশাসনিক কর্মকর্তা নিয়োজিত রাখার দাবী করেন।
স্থানীয় কৃষক ও ইউপি সদস্য বাচ্চু মিয়াসহ আরো অনেকে বলেন, এখানে কর্মকর্তারা অফিস করেন না। তাই জলাবদ্ধতা থাকে সব সময়। ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে থাকে। ফসল উৎপাদন কম হয়।
উত্তর রূপগঞ্জ পানি সংরক্ষণ ও সেচ প্রকল্পের প্রকৌশলী সাদিকুর রহমান বলেন, এ প্রকল্পে আমিসহ প্রায় ২০ জন স্টাফ কর্মচারী ও আনসার রয়েছে। ১০টি পাম্প নিয়োমিত জলাবদ্ধতা নিরসনে চালানো হচ্ছে। টানা বৃষ্টিতে যে পরিমাণ পানি জমেছে সে পরিমাণ সেচের ব্যবস্থা এখানে নেই। এছাড়া বিদ্যুতের সমস্যা। তবে স্থানীয় কৃষকদের চিন্তা মাথায় রেখে অচিরেই আমরা জলবদ্ধতা নিরসন সমাপ্ত করতে পারব বলে আশা করছি।
উল্লেখ্য, প্রায় ৩৬ কোটি ১৩ লাখ টাকা নির্মাণ ব্যয় ১৯৯০ সালে ৫৯৭০ হেক্টর জমির জন্য উত্তর রুপগঞ্জ ওয়াটার কোনজারভ্যান্সি প্রজেক্ট গড়ে তোলা হয়।