
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি সংসদীয় আসনেই আসনভিত্তিক প্রার্থী যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া প্রায় শেষ। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, নির্বাচনি মাঠে তার পক্ষে সবাইকে কাজ করার জন্য কঠোরভাবে নির্দেশ দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সবকিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ে নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনেই প্রার্থীদের ‘সবুজ সংকেত’ দেবে বিএনপি। ইতোমধ্যে প্রত্যেক আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন দায়িত্বশীল নেতারা।
নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ, জেলা, উপজেলার শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলছেন তারেক রহমান। পাশাপাশি প্রার্থী বাছাইয়ে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জে জরিপ চালিয়েছে বিএনপি। জরিপে এগিয়ে থাকা মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বিষয়ে আরও বিস্তর খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। নারায়ণগঞ্জের আসনগুলোর সম্ভাব্য একক প্রার্থীর তালিকা ইতিমধ্যে দলটির হাইকমান্ডের কাছে রয়েছে।
এদিকে অক্টোবরের মধ্যভাগেই নারায়ণগঞ্জে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীদের মাঠে নামার সংকেত দেওয়া হবে। প্রার্থী চূড়ান্ত করতে এ পর্যন্ত অন্তত ৫টি জরিপ চালিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। আন্তর্জাতিকভাবে, সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থা, দলের সাংগঠনিক টিম এবং মিডিয়ার মাধ্যমে এসব জরিপ করা হয়। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বেঁধে দেওয়া ‘মানদণ্ডে’ (আন্দোলন-সংগ্রামে সম্পৃক্ত ত্যাগী, সততার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ, এলাকায় জনপ্রিয় ও ক্লিন ইমেজধারী) এসব তালিকায় প্রতিটি আসনে একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম উঠে আসে।
সম্প্রতিক সময়ে গুলশান কার্যালয়ে দলের দায়িত্বশীল নেতারা বৈঠক করেন। নির্বাচনি প্রস্তুতি ও মাঠপর্যায়ে দলের সাংগঠনিক শক্তি আরও জোরালো করাসহ দলের স্বার্থে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়। দল যাকে মনোনয়ন দেবে, নির্বাচনি মাঠে তার পক্ষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তারেক রহমান। একই সঙ্গে কঠোর বার্তাও দেন তিনি।
জানা যায়, দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কেউ কাজ করলে কিংবা দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেবে বিএনপি। এমন সতর্কবার্তা ইতোমধ্যে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানান, সম্ভাব্য একক প্রার্থীদের প্রথমে অনানুষ্ঠানিকভাবে সবুজ সংকেত জানানো হবে। মাঠপর্যায়ে তারা প্রচার-প্রচারণা চালাবেন। আসনগুলোয় অন্য যারা মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তারাও সবুজ সংকেত পাওয়া প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করবেন। এ সময়ে তাদের কঠোর নজরদারিতে রাখা হবে। সবকিছু ঠিক থাকলে তফশিল ঘোষণার পর দলের পার্লামেন্টারি বোর্ডে মাধ্যমে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।