ফাইল ছবি
কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর জামিন স্থগিতের আবেদন শুনেননি আপিল বিভাগের ২নং আদালত। নতুন করে আগামী সপ্তাহে শুনানির জন্য পাঠিয়েছেন আপিল বিভাগের ১ নম্বর আদালতে।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের ২নং আদালত এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ১৮ নভেম্বর সেলিনা হায়াৎ আইভীকে আরও পাঁচটি মামলায় গ্রেফতার দেখাতে পুলিশের আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
নারায়ণগঞ্জের আলাদা দুটি আমলি আদালতে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন বলে জানান আদালত পুলিশের পরিদর্শক কাইউম খান। ওই সময় আইভী গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে ভার্চুয়ালি আদালতে শুনানিতে যুক্ত হন।
আইভীর পক্ষে শুনানি করা জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আওলাদ হোসেন জানান, আইভী এ মামলাগুলোর আসামি নন। শুধু তার কারামুক্তি বিলম্বিত করতেই পুলিশ তড়িঘড়ি করে নতুন পাঁচটি মামলায় শ্যোন অ্যারেস্টের আবেদন করেছে। এ ব্যাপারে তারা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হবেন বলেও জানান।
গত ৯ মে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন আইভী। তারপর থেকে তিনি কারাগারেই আছেন। পরে আরও চারটি মামলায় তাকে 'শ্যোন অ্যারেস্ট' দেখায় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার মামলাগুলোর শুনানি হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের 'লকডাউন' কর্মসূচির কারণে তা পেছানো হয়।
নতুন মামলাগুলো হলো, বাসচালক আবুল হোসেন মিজি হত্যা মামলা, আব্দুর রহমান হত্যা মামলা, মো. ইয়াছিন হত্যা মামলা, পারভেজ হত্যা মামলা এবং পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলা।
এর মধ্যে প্রথম চারটি মামলায় নিহতের পরিবারের সদস্যরা বাদী এবং ফতুল্লা মডেল থানায় দায়ের করা। মামলার নথি অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ মহাসড়কে এবং ভুঁইগড়, দেলপাড়া এলাকায় গুলিতে নিহত হন বিভিন্ন বয়সী এ চারজন।
অপর মামলাটি সদর মডেল থানায় পুলিশ বাদী হয়ে করেছে। আইভীর বাসভবন 'চুনকা কুটির'-এ গত ৮ মে পুলিশ অভিযান চালায়। ওই সময় পুলিশের গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়া এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এ কারণে পুলিশ গত ১২ মে এই মামলাটি করেছে। আইভীর সমর্থক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদেরও এ মামলায় আসামি করা হয়।

