ফাইল ছবি
যেই বেগুন সিরাজগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকা কেজি দরে সেই বেগুন নারায়ণগঞ্জে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে। একই পন্য দামে এক তফাৎ হবার কারণ বলতে পারেন বিক্রেতারাও!
জানা যায়, চাহিদা কমে যাওয়ায় সিরাজগঞ্জে অস্বাভাবিকভাবে কমেছে বেগুনের দাম। শহরের বিভিন্ন বাজারে এখন ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। আর গ্রামের কোনো হাট-বাজারে এ সবজি মিলছে আরও কম দামে। সেখানে ২ কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৫ টাকায়। শুক্রবার জেলার বিভিন্ন হাট ও বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায় বলে খবর প্রকাশ করেছে প্রথম সারির জাতীয় এক দৈনিক।
সরেজমিনে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ শহরের আড়তে বেগুন বিক্রি হয় ১০ টাকা কেজিতে। সেই বেগুন ১৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। তবে বাজারে বেগুনের চাহিদা কমে যাওয়ায় কমে গেছে দাম। একই চিত্র দেখা গেছে জেলার শমেসপুর, শিয়ালকোল, কামারখন্দ, বলরামপুর, পিপুলবাড়িয়া, বাঘবাটি, বহুলিসহ বিভিন্ন হাটে।
সিরাজগঞ্জ সদরের বনবাড়িয়া হাটে বাজার করতে আসা আব্দুল হামিদ জানান, শুক্রবার হাটে প্রথমে বেগুন ১০ টাকা থেকে ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হলেও সন্ধ্যায় ৫ টাকায় ২ কেজি বেগুন বিক্রি করতে দেখা যায়। এ দামেও বিক্রি না করতে পারায় অনেককে আবার বেঁচে যাওয়া বেগুন বাড়িতে ফেরত নিয়ে যেতেও দেখা গেছে।
বনবাড়িয়া হাটে বেগুন বিক্রেতা শহিদুল ইসলাম জানান, হাটে ৪ মণ বেগুন নিয়ে এসেছিলাম। প্রথম ১০ টাকা কেজিতে বিক্রি করলেও ক্রেতা না থাকায় ৫ টাকা কেজিতে বিক্রি করেছি। সন্ধ্যায় ৫ টাকায় ২ কেজি বিক্রি করেও শেষ করতে পারিনি। বাকি বেগুন বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের দিগুবাবুর বাজার এলাকায় শনিবার সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সেখানে দোকানগুলোতে আকারভেদে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে বেগুন। কেউ কেউ বেগুনি বা সবজি রান্নার জন্য নিলেই বিক্রি কমেছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
দামের পার্থক্য ও বিক্রি কমার ব্যাপারে বিক্রেতা মানিক মিয়া জানান, রমজানের আগের সপ্তাহ থেকে দুই রমজান পর্যন্ত ভালো দামে বিক্রি করেছি বেগুন। তখন ১শ টাকাও দাম উঠেছিল। এখন ৭০ টাকাও তেমন বিক্রি নেই। তবে ক্রেতা আছে।
মূলত গ্রামে ৫ থেকে ১৫ টাকা বিক্রি হলেও তাদের কেনা আরো অনেক বেশী এবং পরিবহন খরচ মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জে এসে তা ৭০ টাকায় বিক্রি করেই বেশী লাভ হয়না বলে জানান এ ব্যবসায়ী।