
ইমপেক্স এগ্রো ফার্ম
নারায়ণগঞ্জে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে বন্দরের ইমপেক্স এগ্রো ফার্মে কোরবানির পশু প্রস্তুত করা হয়েছে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ঘাসের পাশাপাশি চিড়া, গুড়, লেবু ও কলা খাইয়ে এসকল কোরবানির পশু প্রস্তুত করছে খামারটি।
সোমবার (২৬ মে) বন্দর উপজেলার মাধবপাশা এলাকায় অবস্থিত ফার্মটি ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। এখানে এবার ১শ টি গরু প্রস্তুত করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৫২টি গরু বিক্রি হয়েছে।
এবছর খামারটিতে কোরবানির ঈদের জন্য একশো'র মত গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। খামারটিতে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে শুরু করে পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত কোরবানির পশু পাওয়া যাবে।
এখানে গরু ক্রয়ের পর চাঁদরাত পর্যন্ত খামারে গরুর থাকা ও খাওয়ার জন্য কোন বাড়তি চার্জ নিচ্ছেনা ফার্মটি।
ইমপেক্স এগ্রো ফার্মের মালিক শ্যামল জানান, আমি মূলত শখের বশে ফার্মটি দিয়েছি। আমরা চার ভাই, আমাদের দুই তিনটি কোরবানির গরু লাগে। আমি গত ২৫ বছর ধরে গ্রামে গ্রামে ঘুরে ঘুরে এসকল গরু কালেকশন করতাম। সে থেকেই ফার্ম দেয়ার চিন্তা করেছি।
তিনি বলেন, আমার খামারে পঞ্চাশ হাজার টাকা থেকে গরু শুরু। মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে কোরবানির পশুর দাম রাখার জন্য আমার এই উদ্যোগ। সর্বোচ্চ পাঁচ লক্ষ টাকা পর্যন্ত গরু রয়েছে আমার খামারে। গতবছর আমি ৮০টি গরু বিক্রি করেছি। আমি কাঁচা ঘাষ, ভুট্টা ঘাস ও খেড় খাইয়ে গরু লালন-পালন করি। এ ছাড়াও চিড়া গুড়, কাঁচা কলা খায় আমার গরু। আমার বড় গরুতে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি চর্বি হয়। এবছরও আমার প্রায় সব গরু বুকিং হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, কাঁচাঘাস ও খেড় খাওয়াতে হয় বেশি। তাহলে চর্বি কম হয়। আমি লেবু খাওয়াই, সবজি জাতীয় জিনিস খাওয়াই। এবছর আমি পাঁচ হাজার কেজি টমেটো খাইয়েছি সিজনের সময়। তারপর আলু কম দাম হলে আলু খাওয়াই। আমি ইঞ্জেকশন দেই না। আমার সবগুলো গরুই সুস্থ ও প্রানচঞ্চল।