
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে আসন্ন ঈদ উল আযহাকে সামনে রেখে বিভিন্ন অস্থায়ী পশুর হাটে সড়ক ও নৌপথে কোরবানির পশু আসতে শুরু করেছে। নদী ও সড়ক পথে বিভিন্ন জেলা থেকে ব্যাপারীরা গরু নিয়ে হাটে আসছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) সরেজমিনে নারায়ণগঞ্জের ফরাজিকান্দা হাটসহ বেশ কয়েকটি হাটে ঘুরে এদৃশ্য দেখা গেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, হাটগুলোতে নদী ও সড়ক পথে গরু নিয়ে আসছেন ব্যাপারীরা। ইতোমধ্যে অনেক ব্যাপারী হাটে গরু এনে বেঁধে রেখেছেন। ঈদের আগে এসব পশু বিক্রি করে তারা আবার বাড়ি ফিরবেন।
ফরাজিকান্দা বালুর মাঠ হাটের ইজারাদার রানা মুজিব জানান, আমাদের হাটে ইতিমধ্যে কোরবানির দেড় শতাধিক গরু চলে এসেছে। বর্তামানে হাটে দেড় শতাধিক কোরবানির পশু রয়েছে। আগামী দুয়েকদিনের মধ্যে আরো গরু চলে আসবে। আমার বিশেষ অনুরোধ, আপনারা গরু যেখান থেকেই কেনেন। আমাদের বন্দর ফরাজিকান্দা হাটটি একবার ঘুরে যাবেন।
এদিকে কোরবানির পশু পরিবহনের ক্ষেত্রে সড়ক ও নৌপথে কোন হয়রানি বা চাঁদাবাজি এখন পর্যন্ত হয়নি বলে জানান ব্যাপারীরা। চাঁদাবাজি কিংবা গরুর রশি টানাটানি হলে কঠোর ব্যবস্থার হুশিয়ারি দিয়েছে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলো।
নারায়ণগঞ্জ সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আমিনুল ইসলাম জানান, ঈদ উল আযহা উপলক্ষে কোরবানির পশু নিয়ে যেন ব্যাবসায়ীরা নির্বিঘ্নে আসতে পারেন তা নিশ্চিত করতে আমরা তৎপর রয়েছি। নদীগুলোতে নৌ পুলিশের টহল জোরদার করা হচ্ছে। নৌপথে চাঁদাবাজি বা জোরপূর্বক হাটে নৌকা ভেড়ানোর মত অপরাধ যেন না ঘটে সেটা নিশ্চিতে আমরা সর্বোচ্চ ভূমিকা পালন করবো।
কাঁচপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মহাসড়কে আমরা টহল বৃদ্ধি করেছি। তাছাড়া গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। মহাসড়কে পশুবাহী ট্রাকে চাঁদাবাজি ও ডাকাতির ঘটনা রোধে হাইওয়ে পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।