নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার
নির্বাচন কমিশনার মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, প্রিজাইডিং অফিসার হবেন ভোট ব্যাবস্থাপনার কেন্দ্রবিন্দু। ফল ঘোষণার আগে যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে প্রিজাইডিং অফিসার কেন্দ্র বন্ধ করতে পারবেন। রিটার্নিং অফিসার পুরো আসনের ভোট বাতিল করে দিতে পারবেন। হলফনামায় কোন তথ্য গোপন করা হলে বা কম বেশি দেখানো হলে পাশ করার পরেও তার পদবি বাতিল হবে। রিটার্নিং অফিসারদের অগাধ ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, পুলিশ অফিসারদের অনেক ক্ষমতা দেয়া হয়েছে এবং আর্মিকে ম্যাজিস্ট্রেসি পাওয়ার দেয়া হয়েছে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই।
সোমবার (১ ডিসেম্বর) বন্দর থানার মদনপুর এলাকায় শাহারা গার্ডেন এন্ড রিসোর্টে নির্বাচন প্রক্রিয়া ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনের চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায় শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সরকার চিঠি দিয়ে নির্বাচন কমিশনকে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের জন্য অনুরোধ করেছে। সবকিছু প্রস্তুত, মালামালও ক্রয় করা হয়েছে। আমরা আশ্বস্ত করতে চাই এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা তফলিস ঘোষণা করবো এবং দুই মাস পরে যে তারিখে শিডিউল দেয়া হবে সে অনুযায়ী ৬০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এটা ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে আমরা আশা করতে পারি নির্বাচনটা হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসের সুন্দর নির্বাচন ২০২৬ সালে হবে।
এবার আমরা অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রস্তুতি প্রয়োজন সব প্রস্তুতি আমরা নিয়ে ফেলেছি। গণভোটের জন্য আমরা পুরোদমে প্রস্তুতি নিয়েছি। মক ভোটিংয়ে ভোট কেন্দ্রের রিহার্সাল হয়েছে। এবারের ভেটারদের জন্য নতুন বিষয় একই দিনে গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এটা কীভাবে হবে এ নিয়ে অনেকে কনফিউশনে আছে। তবে আমরা ব্যাপক ভাবে প্রচার প্রচারণা করছি। রেডিও, টেলিভিশন ও ওয়েবসাইটে এগুলো দেখাচ্ছি। তথ্য মন্ত্রণালয় ও সরকার এটা ব্যাপক ভাবে প্রচার করবে।
পোস্টাল ভোট আগেও ছিল তবে এটি ব্যাপক ভাবে হয়নি৷ আমরা আইটি পোস্টাল ব্যালটের ব্যাবস্থা করেছি। এটি নতুন সংযোজন। যারা নিবন্ধিত হবে তাদের জন্য আমরা আগে ব্যালট পেপার পাঠিয়ে দিবো।

