
সন্ত্রাসী টুটুল
সিদ্ধিরগঞ্জে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে প্রাণ নাশের হুমকি, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সন্ত্রাসী এস এম আমিনুল হক টুটুল ওরফে ফেন্সী টুটুলের বিরুদ্ধে ছয়টি দফতরে অভিযোগ দিয়েছেন মায়ের দোয়া এন্টার প্রাইজের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, আদমজী নিট ওয়্যারের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক হাজী মো: তানজীম কবির সজিব নামের এক ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী।
বৃহস্পতিবার (৪ আগষ্ট) নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, এসিল্যান্ড, র্যাব-১১’র অধিনায়ক ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর এই অভিযোগ দেন তিনি।
সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী গ্যাস লাইন এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিষয়ের জের ধরে নাসিক ৫ নং ওয়ার্ডের কলাবাগ এলাকার মো: সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো: এস এম আমিনুল হক টুটুলের সঙ্গে নাসিক ৭ নং ওয়ার্ডের কদমতলী এলাকার মৃত হুমায়ুন কবিরের ছেলে মো: তানজীম কবির সজিব গংদের সাথে বিরোধ চলে আসছিলো।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৮ জুলাই রাত সাড়ে ১১ টার সময় মো: টুটুল ওরফে ফেন্সি টুটুল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ বহিরাগত ৫০/৮০ জন লোক জন নিয়ে থানা পুলিশের উপস্থিতিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে উক্ত জমিতে গিয়ে জমির প্রধান ফটকের তালা ভেঙে ফেলে। এ ঘটনার খবর পেয়ে বিাবদীরা ঘটনাস্থলে গেলে তাদের সাথে এক পর্যায়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এসময় পুলিশ দু’গ্রুপকে ধাওয়া দিয়ে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পুলিশের ধাওয়া খেয়ে টুটুল নিজেকে বাচাঁতে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালাতে গিয়ে তার নিজস্ব প্রাইভেট ( গাড়ি নাম্বার-ঢাকা মেট্রো গ-২৯-৪৮-৫৮) কার দিয়ে এক অটোরিকশাকে ধাক্কা দেয়। এতে অটোরিকশায় থাকা তিন যাত্রীসহ চালক গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী অটোরিকশার মালিক টুটুলের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলেও এখন পর্যন্ত তার কোন সুরাহ হয়নি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সিদ্ধিরগঞ্জের কমতলী গ্যাসলাইন এলাকায় ভুক্তভোগীসহ তার ব্যবসায়িক আরো ১১ জন পার্টনার মিলে ৩৫৯ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। জমিগুলোর মালিক নিরীহ হওয়ায় তাদের থেকে জমিগুলো ক্রয় করা হয়। ভুক্তভোগীর অভিযোগ অভিযুক্তরা এই নিরীহ লোকদের কাছ থেকে ভুয়া জাল দলিল (ভুয়া দলিল নংÑ১৩৫ ও ৫৯২) করে একদল অসাধু লোক মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে জোড় পূর্বক জমিগুলো দখল করে রাখেন এবং তাদেরকে মারধর ও ভয়ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে বিতারিত করে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ১৬ মে জমির মালিকদের কাছ থেকে বায়না চুক্তি করি। বায়না চুক্তির পর আমরা জমির দখল বুঝে নিয়ে উক্ত জমিতে সাইন বোর্ড লাগিয়ে দেই।
পরবর্তীতে বেআইনী ভাবে জাল দলিল দ্বারা ভোগ দখল করে আসা অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীসহ তার সকল পার্টনারদের ভয়ভীতি দেখান। এক পর্যায়ে অভিযুক্ত টুটুল ও তার বাহিনী নিয়ে আদালতের নির্দেশ অমান্য করে জমির সাইনবোর্ড, তালা ভাংচুর করেন। ভুক্তভোগীরা বাধা দিলে তাদের প্রাণনাশের হুমকি প্রদান করেন। বর্তমানে এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলমান।
ভুক্তভোগী বলেন, আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। কিন্তু অভিযুক্তরা আদালতের নির্দেশ অমান্য করে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে যাচ্ছে। তারা আমাদের উপর অত্যাচার করছে। আমরা টাকা দিয়ে জমি ক্রয় করেছি। তারপরেও অভিযুক্তরা এক মুক্তিযোদ্ধাকে অপব্যবহার করে আমিসহ আমার ব্যবসায়িক পার্টনারদের বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যা মামলা ও হামলা করে যাচ্ছে এমনকি প্রাণনাশের হুমকিও দিচ্ছে। তাই প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য ও জমির মিমাংসা প্রসঙ্গে ছয়টি দফতরে অভিযোগ দিয়েছি। ন্যায় বিচার পেতে আমি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।