ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ বিএনপির বহিস্কৃত নেতা ও তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব এডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকারের হাত ধরে মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে বিদ্রোহ করে বের হয়ে আসা নেতারা দলের ভেতর ঝুঁকির মুখে আছেন। তৈমূরের হাত ধরেই মহানগর বিএনপির কমিটি থেকে পদত্যাগ করে কমিটি ভেঙে দেয়ার জন্য স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ে বেশকিছুদিন যাবৎ তদবির করে আসছিলেন তারা৷ তবে তৈমূরের তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেয়ার খবরে তাদের মাথায় যেন আকাশ ভেঙে পড়েছে।
গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির কমিটিতে অযোগ্যদের পদায়ন ও ত্যাগীদের অবমূল্যায়নের অভিযোগ এনে তৈমূরের মাসদাইরের বাড়িতে একত্রে পদত্যাগের ঘোষণা দেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির পনেরো জন নেতা।
পদত্যাগকারী নেতারা হলেন, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আবায়ক ও সর্বশেষ কমিটির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সবুর খান সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী নুরুদ্দিন, আতাউর রহমান মুকুল, আবুল কাউসার আশা, সদস্য এড. বিল্লাল হোসেন, আলমগীর হোসেন, শহিদুল ইসলাম রিপন, আমিনুল ইসলাম মিঠু, মনোয়ার হোসেন শোখন, ফারুক হোসেন, হাজী ফারুক হোসেন, হান্নান সরকার, আওলাদ হোসেন, এড. আনিসুর রহমান মোল্লা।
এ ঘটনার পরেই নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপিতে উত্তেজনা দেখা দেয়। দুই গ্রুপের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও পৃথক কর্মসূচি চলে বেশ কিছুদিন। এরপর কেন্দ্রীয় কয়েকটি কর্মসূচিতে বড় পরিসরে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেলেও মাঠের রাজনীতিতে খুব একটা সক্রিয় দেখা যায়নি বিদ্রোহীদের৷ এরই মাঝে পদত্যাগকারী নেতা হাজী নুরুদ্দিন পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করে মূলধারায় ফিরে আসেন।
এদিকে সম্প্রতি তৈমূরের তৃণমূল বিএনপিতে যোগদানের খবরে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে বিএনপির পদত্যাগকারী নেতাদের মাঝে। তৈমূরের এমন সিদ্ধান্তকে কেউই সহজভাবে নিতে পারছেন না। ব্যাক্তিস্বার্থে নেয়া তৈমূরের এমন সিদ্ধান্ত তার ওপর আস্থাশীল কর্মীদের রাজনৈতিক ক্যারিয়ার হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে বলে জানান অনেকে।
বিদ্রোহীরা মনে করেন, দল তেকে বহিস্কৃত হলেও দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবো তার কাজ করে যাওয়া উচিত ছিল। বিএনপি তাকে এক সময় না এক সময় কাছে টেনে নিতই। তবে তৃণমূল বিএনপিতে যোগ দেয়া তার মোটেও উচিত হয়নি। তিনি এ কাজ করে অনেক বড় ভুল করবেন। এতে তিনি ব্যাক্তিগতভাবে লাভবান হলেও তার জন্য বেকায়দায় পড়বে তার অনুসারী ও তার কর্মীরা।