
স্মারকলিপি প্রদান
গণসংহতি আন্দোলন নারায়ণগঞ্জ জেলার সমন্বয়কারী তরিকুল সুজনের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন প্রশাসককে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারকলিপিতে মেট্রোরেল প্রকল্প এমআরটি-২ তে নারায়ণগঞ্জকে যুক্ত করে দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়।
স্মারকলিপি প্রদানকালে পরিকল্পিত এবং টেকসই নারায়ণগঞ্জ গঠনে আপোষহীন থাকবার অঙ্গিকার ব্যাক্ত করে জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন বলেন, 'মেট্রোরেল প্রকল্প প্রস্তাবকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ এবং মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ হচ্ছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড। এতোমধ্যেই গত ৩ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএল, ০৯ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসক ও ১১সেপ্টেম্বর ডিটিসিএস কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি।
ঢাকার পার্শ্ববর্তী ৬ টি জেলার সমন্বিত এবং পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ গঠিত হয়। ৬ টি জেলার মধ্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে নারায়ণগঞ্জ জেলা। নারায়ণগঞ্জের অন্তর্ভুক্তি ছাড়া কখনোই বৃহত্তর ঢাকা সমন্বিত যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব না।নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেল প্রকল্পে যুক্ত করার ব্যাপারে স্মারকলিপি প্রদানকালে প্রশাসকের আন্তরিক এবং দায়িত্বশীল ভূমিকা আমাদের প্রতিনিধি দলকে স্বস্তি এবং নির্ভার করেছে।
তিনি আরো বলেন 'বৃহত্তর ঢাকার পরিকল্পিত, সমন্বিত এবং আধুনিক ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা' এবং 'পরিবহন ব্যবস্থার সুষ্ঠু সমন্বয়, পরিবহন পরিকল্পনা এবং দ্রুতগামী গণপরিবহন ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে জনসাধারণের জন্য নিরাপদ, নির্ভরযোগ্য এবং সহজলভ্য পরিবহন সেবা প্রদান' করার লক্ষ্যে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল। নারায়ণগঞ্জবাসীকে যানজটের অসহনীয় দূর্ভোগ থেকে মুক্ত করতে মেট্রোরেল প্রয়োজন কেবল তাই নয়, প্রাচ্যের ডান্ডিখ্যাত নারায়ণগঞ্জকে পরিকল্পিত, সমন্বিত এবং টেকসই করে গড়ে তুলতেও নারায়ণগঞ্জকে মেট্রোরেলের আওতায় আনা আবশ্যকীয়। এবং নারায়ণগঞ্জের বিপুল জনগোষ্ঠীকে যেকোন মূল্যে মেট্রোরেলের সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা লক্ষ্য করছি, দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার একেবারেই নিকটবর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ বঞ্চনা, অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের শিকার। আমরা নারায়ণগঞ্জবাসীকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এই বঞ্চনা, অবহেলা এবং ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানাই।
স্মারকলিপি প্রদানে প্রতিনিধি দলে জেলা যুগ্ম সমন্বয়কারী আলমগীর হোসেন আলম, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রাণি সরকার, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি ছাত্রনেতা ফারহানা মানিক মুনা উপস্থিত ছিলেন।