শুক্রবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

|

আশ্বিন ১০ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বন্দরে মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে ৪ ভূয়া র‍্যাব গ্রেপ্তার 

Staff correspondent

প্রকাশিত: ১৮:৫৮, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৯:০০, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বন্দরে মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে ৪ ভূয়া র‍্যাব গ্রেপ্তার 

ভূয়া র‍্যাব সদস্য

র‍্যাব পরিচয়ে মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি কালে বন্দরে ৪ ভূয়া র‍্যাব সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ওই সময় পুলিশ গ্রেপ্তারকৃতদের দেহ ও  গাড়ী তল্লাশি চালিয়ে খেলনার সাদৃশ্য ওয়াকিটকি, ১টি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র, ১টি গাড়ী থামানো সিগন্যাল লাইট, ৪টি র‍্যাবের কটি ও ড্রাইভারের সিটের নিচে থেকে ২টি স্কেচটেপসহ তাদের ব্যবহৃত  সাদা রং এর ঢাকা মেট্রো চ ১৩-৮০৪৬ নাম্বারে ১টি  হায়েস মাইক্রোবাস জব্দ করে।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলো সুদূর পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার চররঘুনাথদ্দী এলাকার মৃত দলিল উদ্দিন খন্দকারের ছেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল আলমগীর হোসেন (৩২) একই জেলার সদর থানার পশ্চিম আউলিয়াপুর এলাকার আব্দুল হক সরদারের ছেলে রাজেন্দ্রপুর প্রাক্তন র‍্যাব হেডকোয়াটার্স অবসরপ্রাপ্ত ল্যান্স কর্পোরাল আল মামুন সরদার (৪৩) বরগুনা জেলার আমতলী থানার গেরাবুনীয়া এলাকার মৃত আব্দুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে এনামুল হক (৩৩) ও পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানার রামনগর এলাকার আনোয়ার আলী মিয়ার ছেলে শফিকুল ইসলাম (৫৬)। এ ব্যাপারে বন্দর থানার উপ পরিদর্শক কাজী রিপন সরকার বাদী হয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় এ মামলা রুজু করেন। যার মামলা নং- ৩০(৯)২৫।
গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার (২৪ সেপ্টেম্বর)  দুপুরে উল্লেখিত মামলায় ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে  আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর)  রাত সোয়া ৭টায় বন্দর থানার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের জাঙ্গালস্থ ঢাকাগামী লেনে এ ডাকাতি প্রস্তুতি ঘটনাটি ঘটে।

মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার রাতে বন্দর থানার উপ পরিদর্শক কাজী রিপন সরকারসহ সঙ্গীয় ফোর্স বন্দর থানার জিডি নং ১৩০৩ মূলে বন্দর থানা এলাকায় মাদক উদ্ধার ও বিশেষ অভিযান পরিচালনা করার সময় গোপন সংবাদের মাধ্যমে খবর পায় অত্র থানা এলাকার জাঙ্গাল এলাকার ঢাকা টু চট্টগ্রাম মহাসড়কের ঢাকাগামী লেনে হাজী পার্কিং এর সামনে পাঁকা রাস্তার উপরে কতিপয় ব্যাক্তি ঢাকা মেট্রো চ ১৩-৮০৪৬ নাম্বারের একটি সাদা রংএর হাইস মাইক্রোবাসসহ   র‍্যাবের কটি পরিহিত অবস্থায় সন্দেহজনক ভাবে ঘুরাফেরা করছে। বিষয়টি তাৎক্ষণিক বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জকে অবহিত করে তার নির্দেশে সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স দ্রুত ঘটনাস্থলে আসলে কতিপয় ব্যাক্তিদের গতিবিধি সন্দেহ হলে পুলিশ  তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করে। পরে তারা র‍্যাব সদস্য দাবি করলে  তাদের আইডিকার্ড বা কোন জেলার কোন ইউনিটে চাকুরি করে তার সঠিক উত্তর দিতে না পারায় বন্দর থানা পুলিশ  আলমগীর হোসেন, আল মামুন সরদার, এনামুল হক ও শফিকুল ইসলাম নামে ৪ ভূয়া  র‍্যাব সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। পরে গ্রেপ্তারকৃতদের দেহ ও তাদের ব্যবহৃত মাইক্রোবাস তল্লাশি চালিয়ে কালো রং এর হ্যান্ডকাপ  ,১টি খেলনার সাদৃশ্য ওয়াকিটকি, ১টি ইলেকট্রিক শক দেওয়ার যন্ত্র, ১টি গাড়ী থামানো সিগন্যাল লাইট, ৪টি র‍্যাবের কটি ও ড্রাইভারের সিটের নিচে থেকে ২টি স্কেচটেপ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ লিয়াকত আলী গণমাধ্যমকে জানিয়েছে, মহাসড়কে ডাকাতি প্রস্তুতি সময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা রুজু করে গ্রেপ্তারকৃতদের ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।