
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের সদর নিতাইগঞ্জে একটি বাসায় দগ্ধ হওয়া র্যাব সদস্য অভিজিৎ কুমার সিংয়ের মৃত্যুর পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই ঘটনায় দগ্ধ টুম্পা রানী দাসের (২৮) মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৫টার দিকে মৃত্যু হয় অভিজিতের।
চিকিৎসকের বরাত দিয়ে টুম্পার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মেডিকেল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া। তিনি জানান, টুম্পার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ ছিল। আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে এই আগুনের ঘটনা ঘটে। পরবর্তীতে স্থানীয় হাসপাতাল শেষে ওইদিন সকালে তাদের বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
দগ্ধ টুম্পা রানী দাসের ছেলে বিশাল চন্দ্র দাস ও দূরসম্পর্কের দেবর জনি দাসসহ স্বজনরা জানান, পরিবারটি নিতাইগঞ্জের একটি বাড়ির তৃতীয় তলার ফ্ল্যাটে ভাড়া থাকতেন। টুম্পার স্বামী হরি কমল দুবাই প্রবাসী। তাদের দুইটি ছেলে সন্তান আছে। রাতে ফ্ল্যাটের একরুমে টুম্পার দুই ছেলে ও দেবর জনি দাস ঘুমিয়ে ছিলেন। ভোরে হঠাৎ চিৎকার শুনে ঘুম ভেঙে গেলে তারা দেখেন, টুম্পা রানীর রুমে আগুন জ্বলছে। টুম্পা ও অভিজিতের শরীরেও আগুন। তখন তারা বাথরুম থেকে পানি এনে তাদের দুজনের শরীরে ঢালেন। এরপর ঘরের জিনিসপত্রে লাগা আগুনও নেভানো।
দগ্ধদের সঙ্গে সঙ্গে নারায়ণগঞ্জের জেনারেল হাসপাতালে (ভিক্টোরিয়া) নিয়ে যান। সেখান থেকে তাদের ঢাকায় নেওয়া হয়।
জানা যায়, অভিজিৎ র্যাব-১১ এর সদস্য। তার বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার জয় কৃষ্ণপুর গ্রামে।