
প্রতীকী ছবি
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহসড়কের সোনারগাঁয়ের মেঘনা সেতুর রেলিং ও জয়েন্ট এ্যাঙ্গেল লুটের ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার সকালে পিরোজপুর ইউনিয়নের মেঘনাঘাট বেপারী বাজার এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- ঝাউচর এলাকার বাবুল মিয়া ও সুনামগঞ্জের রোমান মিয়া। রোমান মিয়া প্রতাপেরচর এলাকার রিপন মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া। এসময় তাদের কাছ থেকে লুট হওয়া রেলিং ও জয়েন্ট এ্যাঙ্গেল উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত ১৮জুলাই ও ২রা আগষ্ট দু’দফায় মেঘনা সেতুর রেলিং ও জয়েন্ট এ্যাঙ্গেল লুট হয়। এ ঘটনায় রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় সড়ক ও জনপথ বিভাগের দুই কর্মচারী পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল সোমবার সকালে গ্রেপ্তারকৃতদের নারায়ণগঞ্জ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়, মেঘনা সেতুর ঢালুতে গত ১৮ জুলাই রাত সাড়ে ৯ টার দিকে অজ্ঞাতনামা দুই ব্যক্তি সেতুর রেলিং ও জয়েন্ট এ্যাঙ্গেল খুলে নিয়ে যায়। দ্বিতীয় দফায় গত ২রা আগষ্ট রাত আড়াইটার দিকে পুনরায় মেঘনা সেতুর রেলিং লুট হয়। গত রোববার সকালে এগুলো বিক্রির জন্য বেপারী বাজার এলাকায় বাবুল মিয়ার ভাঙ্গারী দোকানের বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়ার সময় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এবাদুর রহমানের ছেলে রোমান মিয়াকে এ্যাঙ্গেল ও রেলিং ও অটোরিক্সাসহ তাকে এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে সোপার্দ করে। পরে তার তথ্যে ঝাউচর এলাকার আব্দুল হকের ছেলে বাবুল মিয়ার ভাঙ্গারী দোকানে অভিযান চালিয়ে ১৫টি স্টীলের তৈরি রেলিং ও এ্যাঙ্গেল উদ্ধার করে। এসময় বাবুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। এঘটনায় গত রোববার রাতে সোনারগাঁ থানায় সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) ভিটিকান্দি উপ-বিভাগের এম.এল.এস.এস মো. মিজানুর রহমান বাদি হয়ে তিনজনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও কার্যসহকারী মো. আব্দুল আলীম বাদি হয়ে আরো একটি মামলা দায়ের করেন।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক(তদন্ত) মো. রাশেদুল হাসান খান বলেন, মেঘনা সেতুর রেলিং ও এ্যাঙ্গেল লুটের ঘটনায় মামলা গ্রহন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দু’জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।