শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪

|

শ্রাবণ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আদমজী ইপিজেডে ইপিক গার্মেন্টের ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০১:১৩, ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪

আদমজী ইপিজেডে ইপিক গার্মেন্টের ৩ শতাধিক শ্রমিক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে

শ্রমিক

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে আদমজী ইপিজেডের ইপিক গার্মেন্ট নামক একটি পোশাক কারখানার প্রায় ৩ শতাধিক শ্রমিক ফুড পয়জনিংয়ে আক্রান্ত হয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে আক্রান্তরা নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদমজী ইপিজেডের নির্বাহী পরিচালক মসিউদ্দিন মেজবাহ।

তিনি জানান, ইপিক গার্মেন্টসের প্রায় ৮ থেকে ৯ হাজার শ্রমিকদের নিয়ে বাৎসরিক অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে দুপুরের খাবারের পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হচ্ছিল। সন্ধ্যার পরে আস্তে শ্রমিক অসুস্থ হতে থাকে। পরে তাদের কয়েকজনকে বেপজা হসপিটালে পাঠানে হয়। বাকিদের নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয় চিকিৎসার জন্য। 

এদিকে নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক এসকে ফরহাদ জানান, আমাদের এখানে ২২ জন ভর্তি হয়েছে। এছাড়া বেশ কয়েকজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। 

ইপিকল গার্মেন্টের এক কর্মকর্তা জানান, প্রায় ৩শর মতো শ্রমিক ও তাদের সাথে আসা পরিবারের লোকজন দুপুরের খাবার খেয়ে অসুস্থ হলে তাদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপতাল, ৩০০ শয্যা হাসপাতাল, সিদ্ধিরগঞ্জের আলিফ হাসপাতাল এবং প্রো-একটিভ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

রহিমা নামে এক শ্রমিক জানান, আমাদের অনুষ্ঠানে খাবার খাবার পর বিকেল থেকে হটাৎ বমি ও পায়খানা। আক্রান্তের সংখ্যা ৩ শতাধিকের বেশী বলে জানান শ্রমিকরা।

এদিকে নিজেই অসুস্থ হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জের আলিফ জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়া ইপিকল গার্মেন্টের সহকারি ম্যানেজার (অপারেশন) ইমরান হোসেন মিরাজ হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই জানান, আমাদের এখানে আগে যে খাবার খেয়েছি কোনদিন সমস্যা হয়নি। আগেও এমন অনুষ্ঠানে আমাদের কোন সমস্যা হয়নি। এই প্রথম সমস্যা দেখা দিয়েছে। এটা বিশ্বাস হচ্ছেনা। তবে যারা খাবারের কন্ট্রাক্ট নিয়েছে তাদের কোন সমস্যা হয়ে থাকতে পারে। আমাদের ম্যানেজমেন্ট খুব শক্ত ম্যানেজমেন্ট সেখানে এমন হবার কথা নয়। 

তিনি বলেন, আমাদের ৮ থেকে ৯ হাজার শ্রমিক রয়েছে। তাদের খাবারের কন্ট্রাক্ট দেয়া হয়েছিল, মনে হয় তাদের এখান থেকেই সমস্যা হয়েছে। আমরা দুপুর দেড়টা থেকে ২ টার দিকে খাবার খেয়েছি। বিকেল ৪ টা থেকে সাড়ে ৪ টার মধ্যে আমি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম।