বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৯ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সরকারের এমপি মন্ত্রীরা লাজ লজ্জা খেয়ে ফেলেছে : গিয়াসউদ্দিন 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০৫:২৬, ২৩ জানুয়ারি ২০২৩

সরকারের এমপি মন্ত্রীরা লাজ লজ্জা খেয়ে ফেলেছে : গিয়াসউদ্দিন 

শীতবস্ত্র বিতরণ

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মুহম্মদ গিয়াসউদ্দিন বলেছেন, খালেদা জিয়া কোনদিন প্রতিপক্ষের সাথে আঁতাত করেননি। তিনি আপোষহীন নেত্রী হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। বিগত চৌদ্দ বছরে এ দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। গত দুইটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। আজ তারা ক্ষমতা জবরদখল করে আছে। আজ যারা নিজেদের এমপি বলেন মন্ত্রী বলেন তারা নির্বাচিত নয়। যখন লাজ লজ্জা থাকে না তখন মানুষ অনেক কথা বলে। এ সরকারের এমপি মন্ত্রীরা লাজ লজ্জা খেয়ে ফেলেছে৷ তাই তারা এমন দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলে। 

রোববার (২২ জানুয়ারি) বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে একথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাংলাদেশের সকল স্তরের মানুষ যুদ্ধে অংশ নিয়েছিল। তিনি নিজেও ঘোষণা দিয়েই ক্ষান্ত থাকেননি। সম্মুখ সমরে যুদ্ধ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যে সেদিন সকলে এগিয়ে এসেছিল। অনেক ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র আমরা প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলাম। 

বাংলাদেশে মানুষের রাজনৈতিক অধিকার তারা ধূলিসাৎ করে ফেলেছিল। পাকিস্তানে কোন গণতন্ত্র ছিল না। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল। আমাদের কথা সেদিন তারা মূল্যায়ন করেনি। তাই আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমাদের লক্ষ্য ছিল গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা। 

আওয়ামী লীগ বলে বিএনপির সাংগঠনিক শক্তি নেই। তাদের বলতে চাই বিএনপি একমাত্র দল। এ দলের নেতা জিয়াউর রহমান শিখিয়ে দিয়ে গেছে কীভাবে সংগ্রাম করতে হয়। আজ যারা দাম্ভিকতা নিয়ে কথা বলে তাদের বিএনপি দেখাচ্ছে কীভাবে সংগ্রাম করতে হয়। সরকারের ভিত নড়ে গেছে। তারা বিএনপিকে ভয় পায় এদেশের জনগণকে ভয় পায়। তাদের কথাবার্তা ওলট পালট। মিথ্যা দিয়ে ষড়যন্ত্র করে তারা ক্ষমতায় থাকতে চায়। 

 আওয়ামী লীগের লোকজন বাজারে গেলে মানুষ বলে চোরের দলের মানুষ। তারাও আজ গোপনে দোয়া করে এ সরকারের পতন ঘটুক। বিরোধী দল সভা ডাকলেই তারা টাকা পয়সা ব্যায় করে সমাবেশ করতে চায়। তারা পথচারী, গার্মেন্টস শ্রমিকদের ভাড়া করো আনে। এর কারণ মানুষ তাদেরকে পছন্দ করে না। মানুষ তাদের পরিবর্তন চায়। 

তিনি আরো বলেন, আগামী নির্বাচন ২০২৩ সালে। সরকার বিরোধী দলকে নির্বাচনে ডাকছে। তারা জানে জনগণ ভোট দিলে তারা নির্বাচিত হতে পারবে না। তাই তারা প্রহসনের নির্বাচন করতে চায়। তাদের কথা বিশ্বাস করে আমরা নির্বাচনে গিয়েছিলাম। তারা রাতে ভোট চুরি করেছে। যারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে তারা এখন আর এ সরকারের কথায় বিশ্বাস করে না।