বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১০ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

জেলার নেতাকর্মীদের দিয়ে টিপু সাখাওয়াতের ইজ্জত রক্ষা!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:১০, ১৯ মার্চ ২০২৩

জেলার নেতাকর্মীদের দিয়ে টিপু সাখাওয়াতের ইজ্জত রক্ষা!

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে ১০ দফা দাবীতে বিএনপির বিক্ষোভ সমাবেশে আবারও বিএনপি নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে ব্যার্থ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির নেতারা। মহানগরের কর্মসূচি হলেও এদিন জেলা বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদেরই বড় পরিসরে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে দেখা গেছে।

শনিবার (৪ মার্চ) বিকেলে কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ১০ দফা দাবিতে শহরের খানপুর এলাকায় এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় সমাবেশ মহানগর বিএনপির ব্যানারে হলেও মহানগর বিএনপির নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণ আশানরূপ ভাবে দেখা যায়নি। মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের মিছিল ছাড়া চোখে পড়ার মত কোন মিছিল আসেনি সমাবেশস্থলে। মহানগর বিএনপির কোন ইউনিটের নেতাদের বড় পরিসরে সমাবেশে যোগ দিতে দেখা যায়নি।

মহানগর ইউনিটের কর্মসূচি হলেও সমাবেশে মিছিল নিয়ে যোগদেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। এছাড়াও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীবের অনুসারীরাও ব্যাপক পরিসরে সমাবেশে অংশ নেন।

এছাড়াও এদিন সমাবেশে অংশ নেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম আজাদ। সমাবেশে আড়াইহাজার বিএনপির একটি বড় অংশ নজরুল ইসলাম আজাদের উপস্থিতির খবরে আসেন এখানে।

জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা জানান, মহানগর বিএনপিতে অস্থিরতা ও টিপু সাখাওয়াতের ব্যার্থতার ফলে এমনটা হয়েছে। মহানগর বিএনপির কোন কর্মসূচি থাকলেই টিপু ও সাখাওয়াতরা ফোন করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সামনে ইজ্জত সম্মান বাঁচানোর কথা বলতে থাকে। তখন কী আর করার থাকে, যেতে হয়।

এদিকে দেশব্যাপী বিএনপির নানা কর্মসূচিকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে। নতুন করে সক্রিয় হয়ে নতুন উদ্যমে মাঠে নামতে দেখা গেছে বিএনপির মাঠ পর্যায়ের নেতাকর্মীদের। সর্বশেষ নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির পদযাত্রায়ও এমন দৃশ্য দেখা গেছে। এদিন অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে দিয়ে পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় জেলা বিএনপি ও এর বিভিন্ন ইউনিট এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের।

এদিকে একই জেলায় ব্যার্থতার চরম পর্যায়ে রয়েছে মহানগর বিএনপি। একই জেলাই একই পরিস্থিতিতে বারবার দলকে সংগঠিত করতে ব্যার্থতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক এডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান ও সদস্য সচিব আবু আল ইউসুফ খান টিপু।

কমিটি ঘোষণার পর থেকেই দুর্বল সাংগঠনিক অবস্থানের কারণে বিতর্কিত মহানগরীর শীর্ষ দুই নেতা। বারবার মহানগরের ব্যানারে জেলার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের সহায়তায় লোক জমায়েতের চেষ্টা করতে দেখা গেছে তাদের। সর্বশেষ শনিবার (৪ মার্চ) মহানগর বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতেও এই দৃশ্য দেখা গেছে। মহানগরের কর্মসূচি হলেও মহানগর বিএনপির কোন ইউনিট থেকে নেতাকর্মীদের তেমন অংশগ্রহণ চোখে পড়েনি। মহানগর ছাত্রদল ও যুবদলের মিছিল ছাড়া মহানগরীর অন্য কোন মিছিল এদিন দেখা যায়নি। জেলা ছাত্রদল ও জেলা যুবদলের নেতারাও এদিন শোডাউন নিয়ে মহানগর বিএনপির পদযাত্রায় যোগ দেন। মিছিল নিয়ে পদযাত্রায় আসেন জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি। তবে জেলার কর্মীদের এনেও দুই থেকে তিনশ লোক জড়ো করতে পারেনি মহানগর বিএনপির নেতারা।

এর আগে মহানগর বিএনপির কমিটি গঠনের পরপরই নেতৃত্ব নিয়ে দলের ভেতর অসন্তোষ দেখা যায়। ত্যাগীদের কমিটি থেকে বাদ দেয়া, বিতর্কিত ও নিষ্ক্রিয় নেতাদের নিয়ে কমিটি গঠনসহ নানা অভিযোগে কমিটি ঘোষণার পাঁচ দিনের মাথায় ৪১ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি থেকে ১৫ জন নেতা পদত্যাগ করেন।

এদিকে এখনও পদত্যাগকারীদের কারও পদত্যাগপত্র গ্রহন করা হয়নি বলে জানা গেছে। তবে পদত্যাগকারীদের দলে ফিরিয়ে আনতে কিংবা পদবঞ্চিতদের একসাথে নিয়ে দলকে শক্তিশালী করার কোন প্রয়াস করেননি বর্তমান নেতৃত্ব। সম্প্রতি মহানগর বিএনপির আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক এম এইচ মামুন মূল বলয় ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে। দল পরিচালনা করতে গিয়ে বরাবরই "একলা চলো রে" নীতি অবলম্বন করেছেন তারা। ফলাফল হিসেবে নারায়ণগঞ্জ মহানগরে সাংগঠনিক বিপর্যয়ের মুখে এসে দাঁড়িয়েছে বিএনপি।