
ফাইল ছবি
অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে দুই শতাধিক নাগরিক মৃত্যুবরণ করেছে। আন্দোলন হল রাজপথে, বিভিন্ন স্থাপনা ভাংচুর হয়েছে। কিন্তু যারা ঘরে ছিল, বাড়ির ছাদে ছিল, জানালা ভেদ করে তাদের গায়ে গুলি লাগল! এমন ১৬ জন শিশুর খোজ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) কোটা সংস্কার আন্দোলনে ঘরে ও বাড়ির ছাদে থাকা অবস্থায় গুলিবিদ্ধ হয়ে ১৬ জন শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্ত ও ক্ষতিপূরণ চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের শেষে সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন, ছাদে ও ঘরে থাকা অবস্থায় শিশুরা কীভাবে মৃত্যুবরণ করল। এর একটা তদন্ত হোক। রাষ্ট্র প্রতিটি শিশুর নিরাপত্তা দিতে বাধ্য। আমি তিন সদস্য বিশিষ্ট জুডিশিয়াল ইনক্যুয়ারি দাবী করছি। পাশাপাশি নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবী জানাচ্ছি।
এর আগে রিট পিটিশনে গণমাধ্যমের বিভিন্ন রিপোর্ট উল্লেখ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তৈমূর। পিটিশনে তৈমূর নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ, রায়ের বাজারের আবুল আহাত, মিরপুরের শাফফাত সামির ও উত্তরায় নাইমা সুলতানা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিজ বাসায় অবস্থানরত অবস্থায় নিহত হয় বলে উল্লেখ করেন। এসকল মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন ও প্রতিটি শিশুর পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়ার আবেদন জানানো হয়।