ফাইল ছবি
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দলীয় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে সতর্ক করে বলেছেন, সামনে রাজনৈতিক লড়াই অত্যন্ত কঠিন হতে যাচ্ছে এবং দল ঐক্যবদ্ধ না থাকলে ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করতে পারে। তিনি দলের ভেতরে মনোনয়ন নিয়ে তৈরি হওয়া ক্ষোভ ও অসন্তোষের গুঞ্জনের প্রেক্ষাপটেই এই কড়া বার্তা দেন।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফার্মগেটের খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে বিএনপির ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক কর্মসূচিতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা সামগ্রিক বিবেচনায় নিয়ে করা হয়েছে। কোনো এলাকায় পছন্দের ব্যক্তি মনোনয়ন না-ও পেতে পারেন এবং যিনি মনোনয়ন পেয়েছেন তার সঙ্গে ব্যক্তিগত যোগাযোগ নাও থাকতে পারে—এটা স্বাভাবিক।
তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, নেতাকর্মীদের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তির জন্য নয়, বরং ধানের শীষ, দল এবং দেশের উন্নয়ন পরিকল্পনার পক্ষে কাজ করা। তার ভাষায়, এখানে ব্যক্তি নয়, দল ও প্রতীকই মুখ্য বিষয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, সামনের সময় অত্যন্ত কঠিন এবং ঐক্যবদ্ধ না হলে বড় ধরনের বিপদের মুখে পড়তে হতে পারে। আন্দোলনের সময় যেভাবে মানুষকে বোঝানো হয়েছে, ঠিক সেভাবেই দেশ গড়ার পরিকল্পনার বিষয়েও সাধারণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে হবে। জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো উদ্যোগ বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আগামী দুই মাসের মধ্যে বিএনপির উন্নয়ন পরিকল্পনায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে তারেক রহমান বলেন, এটিকে দলের আজকের অঙ্গীকার হিসেবে ধরে নিতে হবে। উপস্থিত ছাত্রদল নেতাদের উদ্দেশে তিনি আশা প্রকাশ করেন, তারা এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সক্ষম হবেন।
ভাষণের এক পর্যায়ে তিনি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন। খাল খননের মাধ্যমে একদিকে বন্যা নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যদিকে সেচব্যবস্থার উন্নয়ন সম্ভব হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তার মতে, সেচ সুবিধা বাড়ায় যেখানে আগে একটি মাত্র ফসল হতো, সেখানে দুই ও তিন ফসল উৎপাদন সম্ভব হয়।
তারেক রহমান আরও বলেন, এক সময় বাংলাদেশ দুর্ভিক্ষের কঠিন সময় পার করলেও জিয়াউর রহমানের শাসনামলে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছিল এবং সীমিত পরিসরে হলেও খাদ্য রপ্তানিতে সক্ষম হয়েছিল।

