
প্রতীকী ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে মাহিয়া আক্তার নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী আইফোন কিনতে বাবা মার কাছ থেকে টাকা আদায় করতে অপহরণের পর গণধর্ষণের নাটক সাজিয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তরিকুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এ ঘটনায় প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়া আক্তারের দুই সহপাঠী সিফাত মিয়া ও সিনথিয়া আক্তারকে আটক করেছে পুলিশি। মাহিয়া আক্তার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজের একাদশ শ্রেণীর শিক্ষার্থী। মাহিয়া আক্তার উপজেলার মঙ্গলখালী এলাকার মাহবুব আলমের মেয়ে।
ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, গত বুধবার সরকারি মুড়াপাড়া কলেজে একাদশ শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর গণধর্ষণ করা হয়েছে এমন সংবাদ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই শিক্ষার্থীর পরিবার রুপগঞ্জ মাহিয়া আক্তারের মা নাসরিন আক্তার রূপগঞ্জ থানা একটি অপহরণের অভিযোগ দেন। ঐ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে নারায়ণগঞ্জে চিকিৎসার ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। অভিযোগের পর পুলিশ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘটনাটি তদন্ত করতে থাকে। তদন্তে বেরিয়ে আসে মাহিয়া আক্তার গত বেশ কিছুদিন ধরে একটি আইফোন মোবাইল কেনার চেষ্টা করছিলেন। আইফোন মোবাইল কিনতে মাহিয়া আক্তার তার দুই সহপাঠী সিফাত ও সিনথিয়া আক্তারের সাথে মিলে অপহরনের নাটক সাজানোর পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনার ভিত্তিতেই গত মঙ্গলবার সকালে মাহিয়া আক্তার মুড়াপাড়া কলেজের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হন৷ সিফাত অপহরণকারী সেজে মাহিয়া আক্তারের মাকে ফোন দিয়ে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপনের টাকা না দিলে মাহিয়া আক্তরকে গণধর্ষণ করবে বলে হুমকি ধামকি প্রদান করতে থাকে। মঙ্গলবার রাতে মাহিয়া আক্তার বান্ধবী সিনথিয়া আক্তারের বাড়িতে অবস্থান করেছে বলে সিনথিয়া আক্তারের পরিবার নিশ্চিত করেন। গত বুধবার মাহিয়া আক্তার তার পরিবার থেকে টাকা টাকা না পেয়ে বন্ধু সিফাতের মাধ্যমে তুষকা সিরাপ কিনে এনে অর্ধেক খেয়ে মুড়াপাড়া কলেজের পেছনে পড়ে থাকেন৷ সিফাত মাহিয়ার বাড়িতে ফোন দিয়ে বলে যেহেতু টাকা দেননি আপনার মেয়েকে কলেজের পেছনে ফেলে গেলাম। এই ঘটনায় আমরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মাহিয়া আক্তারের সহপাঠী সিফাত ও আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।