শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কাউকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেননি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২২:১৩, ২১ জানুয়ারি ২০২৩

কাউকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেননি

বরকতউল্লাহ বুলু

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলু বলেছেন, সেনাবাহিনীর পাশাপাশি আরেকটি বাহিনী তৈরি করে তারা দেশে অরাজকতা তৈরি করেছিল। ১৯৭১ সালে যেভাবে জিয়াউর রহমান ঘোষণা দিয়েছিলেন সেভাবেই ৭৫ সালে তিনি ক্ষমতায় আসেন। কাউকে হত্যা করে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসেননি। সেদিন জাতির প্রয়োজনে এ দেশের সিপাহী জনতা তাকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। তিনি এসে বহুদলীয় গণতন্ত্র আবারও পুনরুদ্ধার করেছিলেন। তিনি এদেশে গার্মেন্টস শিল্প নিয়ে এসেছিলেন। তখন গার্মেন্টস কাকে বলে এদেশের মানুষ চিনত না। আজ মানুষ এত এত রেমিটেন্স পাঠায়৷ এটাও শহীদ জিয়ার অবদান। 

শনিবার (২১ জানুয়ারি) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নবীগঞ্জ ঘাট এলাকায় জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে মাছের পোনা অবমুক্ত শেষে একথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আজ আমরা মৎসজীবী দলের পক্ষ থেকে শীতলক্ষ্যায় মাছের পোনা অবমুক্ত করেছি। কিন্তু এ পোনাগুলো বাঁচবে কীনা আল্লাহ জানে। পানি দূষিত এ বিষয়ে সরকার বা প্রশাসনের কোন নজর নেই। 

শহীদ জিয়াউর রহমান একজন ক্ষণজন্মা পুরুষ। তার জন্ম না হলে স্বাধীনতার ঘোষণা হত না। সেদিন তরুণ মেজর বিদ্রোহ ঘোষণা করে কালুরঘাট বেতারকেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিলেন। মুক্তিযুদ্ধের পরে তিনি আবার সেনাবাহিনীতে ফিরে গেলেন।

যে বিষয়গুলোকে সামনে রেখে দেশ স্বাধীন হয়েছিল তারা দেশ স্বাধীনের পর বিশ্বাসঘাতকতা করেছিল। তারা বাকশাল কায়েম করে মানুষের মৌলিক অধিকার হরণ করেছিল, বাক স্বাধীনতা ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা হরণ করেছিল। কৃত্রিম দুর্ভিক্ষ তৈরি করে চৌদ্দ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হয়েছিল।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান আধুনিক বাংলাদেশের রুপকার। এদেশে অনেক নেতা মারা গিয়েছে। কার জানাজায় কতজন লোক হয়েছে। শেখ হাসিনা আক্ষেপ করে বলেছিলেন ভোর রাত পর্যন্ত তারা বলেছিল বঙ্গবন্ধু যেখানে আমরা আছি সেখানে। কিন্তু আমার বাবার লাশ বত্রিশ ঘন্টা ধানমন্ডিতে পড়েছিল। কেউ উকি দিয়ে আমার বাবার লাশ দেখতে যায়নি। রিলিফের কাপড় দিয়ে আমার বাবার দাফন হয়েছে। কেন আসেনি তা ইতিহাসের মূল্যায়ন। 

আজও বাংলাদেশে ৩৫ লক্ষ বিএনপি নেতাকর্মীর নামে মামলা। আমাদের হাজার হাজার নেতাকর্মী পঙ্গু। এর থেকে মানুষ মুক্তি চায়। সাতাশ দফা ও দশ দফার ভিত্তিতে একটি নিরপেক্ষ সরকার আদায় করতে হবে। শেখ হাসিনার অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। এ সরকারকে বিশ্বাস করা যায় না। আমরা নির্বাচনের পর জাতীয় সরকার গঠন করে দেশকে পুনর্গঠন করবো। আগামী দিনে কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করে এ সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে হবে।

গ্যাসের দাম এক দিনে ত্রিশ টাকা হয়ে গেল। আদানির সাথে চুক্তি ঝারখন্ড থেকে বিদ্যুৎ আনবেন। কার স্বার্থে এই চুক্তি। ইসলামি ব্যাংক থেকে ত্রিশ হাজার কোটি টাকা নিয়ে গেল তা তারা বলতে পারেন না। যে লুন্ঠন হচ্ছে এর বিচার এদেশের মাটিতে হবে।

তিনি আরো বলেন, ওরা বলে জিয়াউর রহমান নাকি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। আমি বলতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার বাবাই তো ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি কেন জিয়াউর রহমানকে বীরউত্তম খেতাব দিয়েছিলেন। কেন তাকে শ্রেষ্ঠ সেক্টর কমান্ডারের খেতাব দিয়েছিলেন। তাহলে সেই সরকারেরও বিচার হওয়া উচিত।

এসময় মহানগর বিএনপি ও মৎসজীবী দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।