
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে জুলাই আন্দোলন চলাকালীন সময়ে আন্দোলন দমনে সশস্ত্র হামলা চালায় তৎকালীন এমপি শামীম ওসমান তার পুত্র অয়ন ওসমান ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। অত্যাধুনিক সব অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোঁড়েন শামীম ওসমান ও তার সহযোগীরা। এঘটনায় ঠিক কয়জন আহত ও নিহত হয়েছেন সে হিসেব এখনও পাওয়া যায়নি।
আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ১৯ জুলাই আন্দোলন দমন করতে সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে মাঠে নামেন শামীম ওসমান। বিকেলে শহরের জালকুড়ি এলাকায় আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান শামীম ওসমান। এসময় পাসপোর্ট অফিসের পাশে গলিতে ঢুকে অত্যাধুনিক অস্ত্র নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলিবর্ষণ করতে থাকেন অয়ন ওসমান ও তার অনুসারীরা।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে এ দৃশ্য। গুলি চালাতে চালাতে ভেতরে ঢুকতে থাকেন অয়ন ওসমান ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে স্থানীয়রা রাস্তায় নেমে আসলে তীব্র প্রতিরোধ শুরু হয়। এক পর্যায়ে পিছু হটে শামীম ওসমান ও তার বাহিনী।
এক পর্যায়ে পাসপোর্ট অফিসে শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা আশ্রয় নিলে সেখানে হামলা চালায় স্থানীয়রা। শামীম ওসমান ও তার অনুসারীরা পালিয়ে গেলে পরে বিক্ষুব্ধ জনতা পাসপোর্ট অফিসে অগ্নিসংযোগ করেন। এতে বন্ধ হয়ে যায় পাসপোর্ট সেবা প্রদান। অফিস, যন্ত্রাংশসহ সব পুড়ে যাওয়ায় দীর্ঘদিন এ অফিসে সেবা বন্ধ থাকার পর সম্প্রতি পুনরায় সংস্কারের পর সেবা প্রদান শুরু হয়েছে।