
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটিতে সভাপতি পদে আলোচনায় আছেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সুলতান মাহমুদ। ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে সবসময়ই সামনের সারিতে ছিলেন এই ছাত্রদল নেতা। জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের আমলে নারায়ণগঞ্জে আন্দোলনে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সুলতান। ছাত্রদলের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকায় বারবার হামলা ও মামলার শিকার হতে হয়েছে সুলতানকে। রূপগঞ্জের এমপি ও আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী নির্দেশে একাধিকবার সুলতানের বাড়িতে হামলা চালায় গাজীর সন্ত্রাসীরা৷ সবকিছু উপেক্ষা করে আন্দোলনে মাঠ ধরে রেখেছিলেন সুলতান।
২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবরের পর নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ডাকা হরতাল ও অবরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সুলতান। সেসময় সুলতানকে গ্রেপ্তারে রেড এলার্ট জারি করে নারায়ণগঞ্জের প্রশাসন। সেবার গ্রেপ্তার হয়ে দীর্ঘদিন কারাবন্দী ছিলেন তিনি।
২০২৪ সালে জুলাই গণঅভ্যুত্থানেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সুলতান। আন্দোলনের শুরুর দিকে রূপগঞ্জ থেকে বিপুল পরিমান নেতাকর্মী নিয়ে নারায়ণগঞ্জে নিয়মিত যোগ দিতেন সুলতান। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ড, শিমড়াইল ও কাঁচপুর এলাকায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন সুলতান মাহমুদ।
জানা গেছে, শিঘ্রই নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হতে পারে। কমিটিকে ঘিরে ইতিমধ্যে নারায়ণগঞ্জের পদপ্রত্যাশী ছাত্র নেতাদের ফাইল কেন্দ্রে জমা পড়েছে। বিগত সময়ে আন্দোলনে সুলতানের ভূমিকা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি পদে সুলতানকে এগিয়ে রাখছে।