এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ
জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম স্পষ্ট করেছেন এনসিপি স্বতন্ত্র ভাবে সংস্কারের পক্ষে যারা জোটবদ্ধ হতে চায় প্রয়োজনে তাদের আমরা নেবো। সংস্কারের পক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে এবং ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পক্ষের শক্তিগুলো আসতে চাইলে তাদের নিয়ে আমরা জোট করতে পারি। কিন্তু যারা সংস্কারের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে, যারা সংস্কার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করেছে ২৪ এর জনআকাঙ্খার বিরুদ্ধে যারা অবস্থান নিয়েছে তাদের সাথে এনসিপির কোন জোট সম্ভব নয়।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) নারায়ণগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপির জেলা অফিস উদ্বোধন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, নির্বাচনী জোট বা দেশের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা সবসময় ছাড় দিয়ে এসেছি। আমরা সংস্কার ও জাতীয় ঐক্যমত্যের প্রশ্নে সবসময় ছাড় দিয়ে এসেছি। জাতীয় ঐক্যমত ও সংস্কারের প্রশ্নে যারা আসতে চায় আমরা তাদেরকে নিয়ে নির্বাচনী কার্যক্রম পরিচালনা করার বিষয়কে আমরা ওয়েলকাম জানাবো।
তিনি আরও বলেন, নভেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে আমাদের প্রাথমিক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে। আমাদের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ইতিমধ্যে আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে প্রার্থী ঘোষণার কথা বলেছে।
হাসনাত বলেন, আওয়ামী লীগ বাংলাদেশের রাজনীতিতে অপ্রাসঙ্গিক। আমাদের সামনের বিষয় নিয়ে চিন্তা করতে হবে। আমরা দেখছি টকশোতে আওয়ামী লীগের যারা সুবিধাভোগী ছিল, কিছু পেইড বুদ্ধিজীবী আছে। যাদের ভাড়ায় খাটানো যায় তারা আওয়ামী লীগের পক্ষে বৈধতা উৎপাদন করেছে। কিন্তু গত দুইদিনে তাদের কার্যক্রমে বুঝে যাওয়া উচিত আওয়ামী লীগ কখনও গণমানুষের দল ছিল না। এই জ্বালাও পোড়াও আগুন সন্ত্রাস এগুলো অতীতে কারা করেছিল এবং বর্তমানে কারা করছে এটা গত দুইদিনের কার্যক্রমে স্পষ্ট। আওয়ামী লীগের পতন নিয়মতান্ত্রিক ভাবে হয়নি যে ব্যালটের মাধ্যমে তাদের ফিরিয়ে আনার কথা হবে। আওয়ামী লীগের পতন হয়েছে গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে।
আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রম গতিশীল করার জন্য জেলা ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে আমরা আমাদের কমিটি সম্প্রসারিত করছি। এর অংশ হিসেবে আমরা জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে অফিস করছি। এগুলো আমাদের সাংগঠনিক কার্যক্রমের অংশ। আমি এ কাজে আমাদের নেতাকর্মী যারা এগুলো করছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

