ফাইল ছবি
পূর্বাচল সরকারি আবাসিক প্রকল্পের আশপাশে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা আবাসিক প্রকল্পের নামে বিভিন্ন সাইনবোর্ড অপসারণের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত। এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর এলাকার এসব সাইনবোর্ড দুই মাসের মধ্যে অপসারণ করতে বলা হয়েছে। রোববার এ আদেশ দেন বিচারপতি জেবিএম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিল সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।
তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন রিটকারীদের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। তিনি বলেন, ঢাকার পূর্বাচলে নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার কিছু অংশ নিয়ে সরকার পূর্বাচল টাউন প্রকল্প নেয় এবং বিভিন্ন ব্যক্তিকে বরাদ্দ দেয়। এর কিছুদিন পর প্রকল্প-সংলগ্ন কালীগঞ্জ ও রূপগঞ্জ উপজেলায় অনেক আবাসন প্রতিষ্ঠান কার্যক্রম শুরু করে। বিভিন্ন স্থানে প্লট বিক্রির উদ্দেশ্যে জলাধারেও সাইনবোর্ড টানায়। এ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ হয়। কোম্পানিগুলোর বৈধতা নেই এবং তাদের মাধ্যমে জনগণ প্রতারিত হচ্ছে। এ নিয়ে হওয়া সংবাদকে গুরুত্ব দিয়ে জনস্বার্থে পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইট ফর বাংলাদেশ রিট পিটিশন দায়ের করে।
অভিযুক্ত আবাসন কোম্পানিগুলো হলো– প্লাটিনাম পূর্বাচল সিটি, সিটি ক্লাউড, কানাডা সিটি, জমিনদার সিটি, সিটি রিম ঝিম, ড্রিমলান সিটি, হোমল্যান্ড পূর্বাচল সিটি, হোমটাউন পূর্বাচল সিটি, প্রিতি রিয়েল এস্টেট, মাসকট সিটি, পুষ্পিতা হাউজিং, নন্দন সিটি, বেস্ট ওয়েবসিটি, মালুম সিটি, মেরিন সিটি, স্বপন সিটি, ইউনাইটেড পূর্বাচল ল্যান্ড লিমিটেড, এজি প্রপার্টিজ লিমিটেড, নাভানা রিয়েল এস্টেট, বিশ্বাস বিল্ডার্স, নীলাচল হাউজিং, বাগান বিলাস, রূপায়ন ল্যান্ড, আদর্শ আইডিয়াল লিমিটেড, তেপান্তর হাউজিং লিমিটেড, মেট্রোপলিটন ক্রিষ্ট্রিয়ান কো-অপারেটিভ হাউজিং, গ্রাফ ইন্টারন্যাশনাল, নর্থ সাউথ হাউজিং, মঞ্জিল হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট, শিকদার রয়েল সিটি, কপোতাক্ষ গ্রিন সিটি, ডিভাইন ফোল্ডিং, শতাব্দী হাউজিং, স্বর্ণ ছায়া রিয়েল এস্টেট, ভিশন ২১ ডিজাইন, ওশেন হ্যাভেন লিমিটেড, চন্দ্রিমা লিমিটেড এবং ফেয়ার ডিল শিপিং লিমিটেড।
এই আদেশ বাস্তবায়ন করে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার এবং গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে আগামী ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে আদালতে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন উচ্চ আদালত।