ফাইল ছবি
ঐতিহ্যবাহী নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। গত এপ্রিল মাসে নিয়োগ প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়ার নিয়োগ কেনো অবৈধ ঘোষনা করা হবে না এ মর্মে আইনি নোটিশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবি এডভোকেট জিল্লুর রহমান। তিনি আইনি নোটিশে বলেন এ স্কুলে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে সাবেক চাকুরীচ্যুত একজন প্রধান শিক্ষকের আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগের বিষয়ে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা থাকার পর কিভাবে গভনিং বডি প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করেছেন এব্যাপারে সাত দিনের মধ্যে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে স্কুলের বিভিন্ন সুত্রে জানা গেছে ,নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক আমিনুল ইসলাম খন্দকার কে তৎকালীন ম্যানেজিং কমিটি অর্থ আত্বস্বাতের অভিযোগে চাকুরীচ্যুত করে জেল হাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে নারায়নগঞ্জ জেলা জজ আদালত থেকে তার মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এর পর থেকে পর্য়ায়ক্রমে খলিলুর রহমান,ফেরদৌস কামাল ,আমিনুল ইসলাম,কমল কান্তি সাহা,কামরুল ইসলাম,ফজলুল হক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন।মহানগর আওয়ামী লীগেরসহ সভাপতি চন্দন শীলের নেতৃত্বে বর্তমান গভনিং বডি দায়িত্ব গ্রহন করেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ করেন।এব্যাপারে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক জানান আদালতের নিষেধাজ্ঞার ব্যাপারে তিনি কিছুই জানতেন না। প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সময় এক মাসের জন্য দায়িত্বে ছিলেন। জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানান,তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের চাহিদা অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষায় সরকারী প্রতিনিধি পাঠিয়েছেন। এব্যাপারে তিনি একটি উকিল নোটিশ পেয়েছেন বলে জানান।নিয়োগ বোর্ডের অন্যতাম সদস্য এবং গভনিং বডির সদস্য আবদুস সালাম জানান,দীর্ঘদিন যাবৎ নারায়নগঞ্জ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়নি।চলতি গভনিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়াকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে আইনি জটিলতা ছিল সেটি আমার জানা ছিলনা।তবে তিনি একটি উকিল নোটিশ পেয়ে বিষয়টি অবহিত হয়েছেন।
এ ব্যাপারে গভনিং বডির সভাপতি চন্দন শীলের সাথে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি। বর্তমান প্রধান শিক্ষক মাহমুদুল হাসান ভুইয়া বলেন এটি গভনিং বডির বিষয়।