শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শীতের সাথে বেড়েছে পিঠা বিক্রি

শরিফুল ইসলাম তনয়

প্রকাশিত: ০২:১২, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

শীতের সাথে বেড়েছে পিঠা বিক্রি

ফাইল ছবি

শীতকালে পিঠা বাঙালির অন্যতম একটি প্রিয় খাবার। কনকনে শীতে  পিঠার কথা শুনলেই শিশু থেকে বৃদ্ধ সবার জিভে জল চলে আসে। গ্রাম বাংলায় পিঠা পছন্দ করেনা এমন লোক মানুষ খুজে পাওয়া দুরহ ব্যাপার। শীত আসলে ঘরে-ঘরে বেড়ে যায় পিঠার কদর। আর এই শীত মৌসুমকে কেন্দ্র করে  পিঠা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন ভ্রাম্যমাণ ও মৌসুমী পিঠা বিক্রেতারা ও পিঠার কারিগররা।

এখন শুধু বাড়িতে নয় শীত্ এলে বিভিন্ন পাড়া বা মহল্লার অলিগলিতে দেখতে পাওয়া যায় হরেক রকমের পিঠার দোকান। সবচেয়ে বেশি চোখে পরে চিতই পিঠার দোকান। মূলত কাঠ বা টিন দিয়ে এসব দোকান তৈরি করে থাকেন পিঠা বিক্রেতারা। আর সেই পিঠার স্বাদ নিতে দোকানে ভিড় জমান সব শ্রেনীর পিঠাপ্রেমীরা। শুরুতে করোনা ভাইরাসের কারনে কিছুদিন বিক্রয় কম হলেও এখন দোকান গুলোতে বেচাকেনাও বেড়েছে প্রচুর।  কারো পছন্দ তুলতুলে নরম চিতই পিঠা আবার কারো পছন্দ করা ভাজা পিঠা। এর মধ্যে ডিম চিতইম দুধ চিতই পিঠাও রয়েছে পছন্দের তালিকায়।

নিমাইকাশারি এলাকার আলেয়া বেগম নামে একজন পিঠা ব্যবসায়ী জানান, শীত এলেই তিনি চিতই পিঠা বিক্রয় করেন। তিনি দীর্ঘদিন ধরে চিতই পিঠার এ ব্যবসা করে আসছেন। তার সাংসারিক বিভিন্ন কাজের পাশাপাশি পরিবারের একটু বাড়তি আয়ের যোগান দিতে তিনি এ পেশা ধরে রেখেছেন। অল্প খরচে ভালো লাভের আশায় প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত তিনি এ ব্যবসা করছেন। এতে করে তার বেশ ভালো আয় হচ্ছে বলে জানান তিনি।

চিটাগাং-রোড এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী আকাশ খান জানান, ছোটকাল থেকেই আমার পিঠা খুব পছন্দ। শীতের সময় আমি বাসায় বায়না ধরতাম পিঠা খাও্য়ার জন্য। এখন বড় হয়ে গেছি ব্যবসা নিয়ে সারাদিন ব্যস্ত থাকি তাই পিঠা খাও্য়া নিয়ে আগের মত আর বায়না ধরতে পারি না। তাছাড়া ডিম চিতই পিঠা আমার খুব পছন্দ। এছাড়া প্রতিদিন সন্ধ্যা হলে আমি পিঠার দোকানে ছুটে যাই একটু পিঠার স্বাদ নিতে।

শাপলা চত্বর মোড়ের পিঠা ব্যবসায়ী রসিদ জানান, শীত বেশি পড়লে পিঠা বিক্রি বেশি হয়। প্রতিদিন গড়ে ৫ থেকে ৬ কেজি চাউলের পিঠা বিক্রি করেন তিনি। চালের গুঁড়া, নারিকেল, গুড়, লাকড়ি ও অন্যান্য খরচ বাদে ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকা লাভ হয় দিনে। শুক্রবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়। মূলত সকাল ও সন্ধ্যায় পিঠা বিক্রি হলেও তুলনামূলক সন্ধ্যায় দোকানে পিঠার চাহিদা বেশি থাকে। অনেক সময় সন্ধ্যা হলে পিঠা কিনতে দোকানে সিরিয়াল দেন ক্রেতারা।

তিনি আরো বলেন, অনেকে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে খান। এছাড়া বেশি পিঠা প্রয়োজন হলে ১ দিন আগে অর্ডার দিয়ে যান আবার পরিচিত অনেকে সকালে আমার বাসায় গিয়ে বলে আসেন আমি পিঠা তৈরি করে সন্ধ্যায় তাদের বাসায় দিয়ে আসি।