
মহানগর যুবদল
নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি ডা. সেলিনা হায়াত আইভীকে গ্রেপ্তারের অভিযানের খবরে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হচ্ছে এমন খবরে ভোর থেকে সড়কে অবস্থান নিয়েছে মহানগর যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৯ মে) ভোরে শহরের গুলশান সিনেমা হলের নিচে মহানগর যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম সজল ও যুবদল নেতা মাজহারুল ইসলাম জোসেফের নেতৃত্বে অবস্থান নেন নেতাকর্মীরা।
একই সময়ে অবস্থান নেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি আবুল কাউসার আশা ও তার নেতাকর্মীরা।
এর আগে শহরের দেওভোগ এলাকায় সদর থানা যুবদল নেতা রাফিউদ্দিন রিয়াদ ও সাইফুল ইসলাম আপনের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ বিরোধী বিক্ষোভ মিছিল করে থানা যুবদলের নেতাকর্মীরা।
শুক্রবার (৯ মে) ভোর তিনটার দিকে শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত চুনকা কুটির থেকে আইভীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তবে তিনি দিনের আলোয় পুলিশের সাথে যাবেন জানান।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় হত্যা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে আইভীর বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় ছয়টি মামলা আছে বলে পুলিশের একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাত এগারোটার দিকে পুলিশের একটি দল শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত আইভীর বাড়ি চুনকা কুটিরে প্রবেশ করেন। এসময় আইভীর গ্রেপ্তারের খবরে স্থানীয় বাসিন্দারা ও তার নেতাকর্মীরা রাস্তায় নেমে আসলে পুরো এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
এসময় আইভীর বাড়ির দিকে যাওয়ার চারটি রাস্তায় বাশ, ঠেলাগাড়ি, ভ্যানগাড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও আইভীর সমর্থকেরা। আশেপাশের এলাকার মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে সকলকে আইভীর বাড়ির দিকে রওয়ানা দেয়ার আহ্বান জানান তারা।
নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অপারেশন) তারেক আল মেহেদি আইভীর বাড়ির সামনে অবস্থানরতদের উদ্দেশে বলেন, তার (আইভী) বিরুদ্ধে মামলা আছে। আমরা তাকে নিয়ে যাব। আপনারা বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে কোনো লাভ হবে না। আপনারা যদি অবস্থান করেন করতে পারেন, আমরাও এখানে অবস্থান করব। তবে তাকে নিয়ে যাব।