
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জে জালিয়াতিপূর্ণ, ষড়যন্ত্রমূলক এবং ভোটার বিহীন দাবি করে বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক ৩ প্রধান নির্বাচন কমিশনার সহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার আবেদন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুল বারী ভূঁইয়া নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালতে মামলাটির আবেদন করেন।
মামলায় ৯ জনকে সাক্ষী দেখিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সাবেক তথ্য উপদেষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয়, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও কামরুল ইসলাম, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক তথ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ এ আরাফাত, সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রাকিব উদ্দিন আহমেদ, কেএম নুরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন এবং সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নী জেনারেল আশিক উল হককে আসামি করা হয়েছে।
আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করে আগামী ৩ জুন শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।
আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সরকার হুমায়ূন কবীর মামলায় বাদি পক্ষে শুনানীতে অংশ নেন। এসময় আরো কয়েকজন আইনজীবী তার সাথে শুনানীতে অংশ নেন।
মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে জালিয়াতি করে বিনা ভোটের মাধ্যমে ২০১৪ সাল থেকে ২০২৪ সালে দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করে। অনিয়ম ও কারচুপির ঐসব নির্বাচনে জনগণের ভোটাধিকার ছিল না এবং বাংলাদেশকে অন্য রাষ্ট্রের কাছে নতজানু রাষ্ট্রে পরিণত করতে ঐসব নির্বাচনের আয়োজন করে একটি পক্ষকে একতরফা ভাবে জয়ী করার ব্যবস্থা করে, যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল।
বাদী অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূইয়া জানান, অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ হয়ে ষড়যন্ত্র করে ভোটারবিহীন ড্যামি নির্বাচন করেছেন আসামিরা। তাই আমরা তাদের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেছি। আদালত এই মর্মে মামলা হয়েছে কিনা এ বিষয়টি জানতে সংশ্লিষ্ট থানাকে তলব করেছেন। সেই সাথে আগামী ৩ জুন শুনানীর দিন ধার্য্য করেছেন।