শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

উৎসবের সুরে ভেসে আসে ‘বসন্ত এসে গেছে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৮:১৩, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২

উৎসবের সুরে ভেসে আসে ‘বসন্ত এসে গেছে’

বসন্ত

লাল টিপ আর বাসন্তী রঙের শাড়িতে সেজে আসা মেয়েটির খোঁপায় উঠেছে হলুদ গাঁদার মালা। আবির এসে ছুঁয়ে যায় তার মৃদু হাসিতে টোল পড়া গাল। সেই পরিবেশে দূর থেকে কোকিলের সুরের মতো ভেসে আসে ‘বসন্ত এসে গেছে’।

সত্যিই তাই, সব স্বপ্ন আর অপেক্ষা পূর্ণ করে অবশেষে বসন্ত এলো। দিন ক্ষণ মেপে, অনেকটা উচ্ছ্বলতা নিয়ে বসন্ত এলো নগরে। তারপর বাদ্যযন্ত্র এ রাজ্যের সুরে সে ধরা দিয়েছে নাগরিক জীবনের চঞ্চলতায়।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে জাতীয় বসন্ত উদযাপন পরিষদের আয়োজনে শহীদ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শিল্পকলা একাডেমির উন্মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হলো বসন্ত উৎসব। তাতে জীবনের সীমাবদ্ধ বৃত্তকে পেরিয়ে গাওয়া হলো মলয় বাতাসের গান। 

আয়োজনে প্রথমেই বেঙ্গল মিউজিকের শিল্পীরা সমবেত এসরাজ বাদ্যযন্ত্রে পরিবেশন করেন বাসন্তী রাগ। এরপর বসন্তের আবাহন পাঠ করেন বাচিকশিল্পী আহকাম উল্লাহ। সম্মেলক নৃত্য পরিবেশন করেন স্বপ্নবিকাশ কলা কেন্দ্র। ফাল্গুন আর ভালোবাসার মিশ্রণে আবৃত্তি করেন বাচিকশিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাগুনের মোহনায় ততক্ষণে দর্শক সারি পরিপূর্ণ হয়েছে বসন্ত ভালোবাসা মানুষের লাল আর বাসন্তী রঙের সাজে। শিল্পীদের সঙ্গে গুণগুণিয়ে সুর ওঠে..বসন্ত জাগ্রত দ্বারে!

সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বসন্তকথন পর্ব।  এই পর্বে উদযাপন পরিষদের সভাপতি স্থপতি শফি উদ্দিন আহমেদ বলেন, এবছর করোনাকালের বছর। তবু বসন্ত তার কাল নিয়মে চলে এসেছে। আমরাও সবাই এই বসন্ত উদযাপন করে সেই করোনার যাতনা দূর করতে চাই। 

সাধারণ সম্পাদক মানজার চৌধুরী সুইট বলেন, আমরা আপনাদের নিয়ে বসন্তের অবগাহনে মেতে উঠতে চাই। বসন্তের যে রঙের ছটা, তা সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে যাক, বর্ণিল যে আনন্দ, সেটিই আমাদের কাম্য।

সহ-সভাপতি কাজল দেবনাথ বলেন, আমরা বাংলাদেশের মানুষ অত্যন্ত ভাগ্যবান। পৃথিবীর কোথাও কিন্তু ষড়ঋতু নেই। আর এই ছয় ঋতুর মধ্যে বসন্ত একেবারে ঋতুরাজ। তরুণ প্রজন্মের জন্য বলতে চাই- প্রকৃতি আমাদের আসল জায়গা। আমাদের যে অর্জন তার সবকিছুই প্রকৃতির কাছ থেকে। আসুন আমরা নিজেদের প্রকৃতির মধ্যে বিলিয়ে দিই।

বসন্ত কথন শেষে শুরু হয় আবির মাখার পর্ব। তারপর একে একে মঞ্চে উঠে আসে বসন্তের গান, নৃত্য। তা থেকে বাদ পড়ে না আদিবাসী নৃ-গোষ্ঠী সংস্কৃতিও।