শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বাড়তি দামে বিক্রি কমেছে ফলের

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ২৮ মার্চ ২০২৩

বাড়তি দামে বিক্রি কমেছে ফলের

কালীরবাজার, ফলের আড়ৎ

নারায়ণগঞ্জের বাজারে গত রমজানের তুলনায় কমেছে ফলের বেচাকেনা। মূলত ফলের আকাশচুম্বী দামে ক্রেতাদের আগ্রহ কমেছে ফলের প্রতি।

মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) সরেজমিনে শহরের ফলপট্টি ও কালীরবাজার ফলের আড়ৎ ঘুরে এ দৃশ্য দেখা গেছে। 

বাজারে ঘুরে দেখা যায়, গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে ফলের দাম। উৎপাদন খরচ বাড়ার ফলে দেশি ফলের দামও বেড়েছে বলে দাবী বিক্রেতাদের। 

ফলপট্টি এলাকার ফলের দোকানদার আবদুল হালিম জানান, গত বছর রমজানের তুলনায় এবার বেচাকেনা অর্ধেকে নেমে এসেছে। ফলের দাম বেশি। মানুষজন ফল কম কিনছে। 

বাজারে ফল কিনতে আসা আসিফ জানান, ফলের অতিরিক্ত দামের কারণে ফল বিদেশি ফল কেনা বন্ধ করে দিয়েছি। নিত্যপন্যের বাজার চড়ে থাকায় মানুষ এমনিতেই চাপে আছে। তার ওপর এত দামে ফল কেনা কীভাবে সম্ভব। কলা আর পেয়ারা কিনেছি ইফতারে খাওয়ার জন্য। 

বাজারে প্রতি কেজি সবুজ আপেল ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায়, লাল আপেল ২৮০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমলার কেজি ২০০ থেকে ২৫০ টাকার মধ্যে। সবুজ আঙুর ২০০ থেকে ২২০ টাকা ও লাল আঙুর ৩৫০ থেকে ৩৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। মাল্টার কেজি ২০০ থেকে ২২০ টাকা। নাশপাতি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকা। আনার ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

দেশি ফলের মধ্যে পেয়ারার কেজি ৬০ থেকে ৭০ টাকা। মাঝারি ও বড় আকারের প্রতিটি আনারসের দাম ৩০ থেকে ৬০ টাকা। তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২৫০ টাকায়। সবরী কলার দাম বেশ চড়া। প্রতি ডজন সবরী কলা ১১০ থেকে ১২০ টাকায় চলছে। সাগর কলার দামও প্রায় কাছাকাছি, ৯০ থেকে ১০০ টাকা ডজন। দেশি কলার ডজন ৮০ থেকে ১০০ টাকা।

এছাড়াও বাজারে এখন দেশি স্ট্রবেরি, আতা ও সফেদার মতো ফলও পাওয়া যাচ্ছে। মাঝারি মানের প্রতি কেজি স্ট্রবেরির দাম ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা। এক কেজি আতা ফলের দাম রাখা হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৮০ টাকা। আর সফেদার কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা। বিদেশি খেজুরের দাম এবার বেশ বাড়তি। মোটামুটি মানের খেজুর কিনতে গেলেও  প্রতি কেজি ৫০০ থেকে ৮০০ টাকা গুনতে হয় ক্রেতাদের।