শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১১ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

বাজারে সর্বনিম্ন দামের সবজিটির মূল্যও প্রতিকেজি ৬০ টাকা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৫:৫৮, ১২ মে ২০২৩

আপডেট: ১৯:১৯, ১২ মে ২০২৩

বাজারে সর্বনিম্ন দামের সবজিটির মূল্যও প্রতিকেজি ৬০ টাকা

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জে সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির বাজারে প্রায় সব সবজির দাম বেড়েছে। বাজারে সর্বনিম্ন দামের সবজিটির মূল্যও হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকা।

বাজারে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে আছে ঢেঁড়স, টমেটো, লাউ, লতি, শসা, মূলা। রোজার ঈদের আগেও ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়। এছাড়া ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে আছে ঝিঙে, পটল, গোল বেগুন। আর ৮০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া সবজিগুলোর মধ্যে আছে পেপে, করল্লা, লম্বা বেগুন, ধুন্দল। খুচরা বাজারে প্রতি ডজন লেবু ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

খুচরা বাজারে শাকের মধ্যে প্রতি আঁটি লালশাক ১৫ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, লাউশাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

শুক্রবার (১২ মে) দিগুবাবুর বাজার ঘুরে সবজির এমন দাম দেখা গেছে।  

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এ সপ্তাহে খুচরা পর্যায়ে মরিচের দাম বেড়েছে। আজ এক পাল্লা (৫কেজি) মরিচ পাইকারি বাজারে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকায়। যা খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ১৪৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। কিছুদিন আগে ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া পটল বর্তমানে পটল বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকায়।

এক সপ্তাহ আগে ৬০-৭০ টাকায় বিক্রি হওয়া করল্লা বর্তমানে প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লাউ প্রতিপিস ৬০ টাকায়। প্রতি কেজি ৬০ টাকায় বিক্রি হওয়া বেগুন বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। টমেটো পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে ২৮-৩০ টাকায়, যা এখন খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকায়।

বাজারের পাইকারি সবজি বিক্রেতা ফোরকান আহমেদ বলেন, ঈদের পর বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। বর্তমানে বাজারে সবজির গাড়ি কম আসছে৷ পাশাপাশি লেবার খরচও আগের থেকে অনেক বেড়ে গেছে। যে কারণে বাজারে সবজির দাম বাড়তি।

এদিকে সবজির দাম বাড়ায় ক্রেতারা একপ্রকার ক্ষোভ জানিয়েছেন। দাম বাড়ার ফলে অনেকে চাহিদা মতো সবজি কিনতে পারছেন না।

বাজারে সবজি কিনতে এসেছিলেন মেহেদী হাসান নামের এক ক্রেতা। নিত্য পণ্য পাশাপাশি সবজির দাম বাড়ায় সংসার চালাতে কেমন ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে জানতে চাইলে এক প্রকার বিরক্ত হতে তিনি বলেন, দেশের বাজারে একবার কোনো কিছুর দাম বাড়লে সেটার দাম কমার রেকর্ড নেই। যে যার ইচ্ছামতো দাম রাখছে, কোনো জবাবদিহি নেই। মনে করেছিলাম এলাকার দোকানে যেহেতু সবজির দাম বেশি তাই একটু বাজারে যাই। সেখানেও এসে দেখি একই অবস্থা, দাম বেশি সব কিছুরই। বর্তমান যুগের ব্যবসায়ীরা হলেন নব্বইয়ের দশকের গুণ্ডাদের মতো। শুধু তফাৎ নব্বইয়ের দশকে অস্ত্র ঠেকিয়ে টাকা আদায় করা হতো, আর এখন ডলার সংকট ও রাশিয়া ইউক্রেনের যুদ্ধের দোহাই দিয়ে দাম বাড়িয়ে সাধারণের টাকা লুট করছে।