
প্রতীকী ছবি
বন্দরে বিভিন্ন এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও চোরের উপদ্রব অস্বাভাবিক ভাবে বেড়েছে। তাদের উৎপাতে রাতের ঘুম হারাম হয়েছে এলাকাবাসীর। ১৫ জনের একটি চোর ও মাদক ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট অতিষ্ট হয়ে তুলেছে সেখানকার মানুষের জীবন। চোরদের অনেকেই রয়েছে অনায়াসে ১০-১২ তলা পর্যন্ত বেয়ে উঠার প্রশিক্ষণ, জানা আছে খালি হাতে তালা খুলে ফেলার কৌশল। এতে আতংকিত এলাকাবাসী। মাদক ও ভয়ংকর এ সব চোরের উপদ্রব থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের দুষ্টি আকর্ষণ করেছেন তারা।
এলাকাবাসী জানান, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২৪ ও ২৫ নং ওয়ার্ডের দেউলী চৌরাপাড়া এলাকায় মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে এলাকার সাধারণ মানুষ। মাদক সহজলভ্য হওয়ায় নি¤œ শ্রেণির পরিবারের যুবক ও কিশোররা দিন দিন মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে। তারা নেশার টাকা যোগাতে চুরি ছিনতাইসহ নানা অপরাধ কর্মে লিপ্ত হচ্ছে। প্রতিরাতেই কোনো না কোনো বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটছে, ঘটছে ছিনতাইয়ের ঘটনাও। এ সব ঘটনায় আতংকিত এলাকাবাসী। সম্প্রতি চৌরাপাড়ার জাবেদ হোসেনের গ্যারেজের তালা ভেঙ্গে ৪টি অটোরিকশা নিয়ে যায়। একই ভাবে জহিরুল ইসলামের মোটর সাইকেলটিও নিয়ে যায় চোরের দল। গত সপ্তায় চুরি হয় প্রায় এক ডজন পানির পাম্প । এলাকাবাসী জানান, ১৫/১৬ জনের চোর সিন্ডিকেটে অতিষ্ট তারা।
সিন্ডিকেটের মধ্যে রয়েছে, খালি হাতে ভবনে উঠার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত দেউলী এলাকার ইসমাইলের ছেলে লিটন, মৃত সফিউদ্দিন সইপ্পার ছেলে রুবেল, তার শ্যালক সোহাগ, আফজাল হোসেনের ছেলে নয়ন, নূরা চোরের ছেলে স্বপন, ডগাইল্লা নাসিরের ছেলে কালাম, চৌরাপাড়ার খালেকের ছেলে নূর ইসলাম,জামানের ছেলে দীপ্ত, কদম আলীর ছেলে আনু, আবদুল হাইয়ের ছেলে জুয়েল ,হোসেনের ছেলে সানজিদ ও আসলাম। দেউলী এলাকার ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী আরিফ চোরদের গডফাদার বলে এলাকাবাসী জানান। আরিফের ছত্রছায়ায়ই চুরির ঘটনা ঘটছে। এ ছাড়া মদনপুর- মদনগঞ্জ সড়কের পাশে মদনপুর , ধামগড়, দাসেরগা ,আমিরাবাদ , নবীগঞ্জ, বন্দর ও ফরাজিকান্দা এলাকায় গজিয়ে উঠেছে অর্ধশতাধিক ভাঙ্গারীর দোকান। এ সব দোকানের মালিকরা চোরাই মালের ক্রেতা বলে জানা গেছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, লিটনের ছেলে ইয়াবা ডিলার নিজাম ও হেরোইন স¤্রাজ্ঞী মরিয়মসহ অর্ধডজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের সোর্সের পরিচয় দানকারী গরু শহীদের শেল্টারে এখানে দেদারসে মাদক বিক্রি করছে। যুব সমাজকে রক্ষা করতে দ্রুত এর প্রতিকার চান এলাকাবাসী।