বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

|

পৌষ ৯ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

আলিফা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:১৪, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

আলিফা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৩

প্রতীকী ছবি

বন্দরে স্কুল ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে  আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো বন্দর থানার দড়ি সোনাকান্দা এলাকার মানিক চাঁন মিয়ার ছেলে ফয়সাল ওরফে বাদশা (২৯) একই এলাকার মৃত আহসান মিয়ার ছেলে ইসমাঈল (৪০) ও জামাল মিয়ার ছেলে ইমন (২৫)। আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর আগে গত মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) বন্দর থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রেখেছে পুলিশ।

এ ব্যাপারে নিহত স্কুল ছাত্রী মা পারভিন বেগম বাদী হয়ে মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে অজ্ঞাত নামা আসামী করে বন্দর থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন  । যার মামলা নং- ২৪(১২)২৫ ধারা- ৩০২/৩৪। এর আগে গত সোমবার (২২ডিসেম্বর) বন্দর থানার ২০নং ওয়ার্ডের  দড়ি সোনাকান্দাস্থ জনৈক দেলোয়ার হোসেনের বসত বাড়ীর সামনে রাস্তার উপর থেকে ওই মৃতদেহটি  উদ্ধার করা হয়। নিহত স্কুল ছাত্রী আলিফা আক্তার রোজামনি মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর থানার রমপাল ধলাগাঁও (হাওলাদার বাড়ী) এলাকার আলী মিয়ার মেয়ে। তারা দীর্ঘ দিন ধরে বন্দর থানার দড়িসোনাকান্দা এলাকার জামান মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করে আসছিল। সে সোনাকান্দা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণীতে পড়ালেখা করে আসছিল।

মামলার তথ্য ও হত্যা মামলার বাদিনী গণমাধ্যমেকে জানান, গত রোববার (২১ ডিসেম্বর)  বিকাল ৪টায় বাদিনী মেয়ে আলিফা আক্তার রোজামনি  ভাড়াটিয়া বাসা হইতে খেলাধুলা করার জন্য বাহিরে  যায়। পরবর্তীতে সন্ধ্যাবেলা বাদিনী মেয়ে বাসায়  ফিরে না আসায় বাদিনী ও তার  পরিবারের লোকজন মেয়েকে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুজি করে তার কোন  সন্ধান পায়নি। পরবর্তীতে গত সোমবার (২২ ডিসেম্বর)  ভোর ৬টায় বাদিনীর প্রতিবেশী জনৈক ইয়াছমিন ও তার স্বামী আক্তার হোসেন বাদিনীর ভাড়াটিয়া বাসায় এসে বাদিনীকে জানায় দড়ি সোনাকান্দা এলাকার  আক্তার হোসেন এর ভাই দেলোয়ার হোসেন এর বসত বাড়ীর সামনে -রাস্তার উপর একটি মেয়ের লাশ পাওয়া গেছে। উক্ত সংবাদ পেয়ে বাদিনী ও তার  পরিবারের লোকজন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে লাশ শনাক্ত করে। পরে আশেপাশের লোকজন থানা পুলিশকে সংবাদ দিলে খবর পেয়ে  থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করে ময়না তদন্তের জন্য লাশ নারায়ণগঞ্জ  জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে।

এ ব্যাপারে বন্দর থানার ওসি গোলাম মোক্তার আশরাফ উদ্দিন গণমাধ্যমকে  জানান, স্কুল ছাত্রী হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনী ৩টি টিম যথাক্রমে র‍্যাব-১১ একটি টিম ফয়সালকে পিবিআই এর একটি টিম ইসমাঈলকে সব শেষে বন্দর থানা পুলিশ ইমনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয। ধৃতদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ অব্যহত রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে বিস্তারিত তথ্য আপনাদের পরে জানানো হবে।হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশি তদন্ত অব্যহত রয়েছে।