শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ১২ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

প্রেমের অপরাধে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ অভিমানে  আত্মহত্যা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ০০:০২, ২২ নভেম্বর ২০২২

প্রেমের অপরাধে স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে ছাড়পত্র দেওয়ার অভিযোগ অভিমানে  আত্মহত্যা

প্রতীকী ছবি

গত ২০ নভেম্বর বিকেলে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার হাটাবো সাত্তার জুট মিলস স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম প্রেম করার অপরাধে হানিফ নামে নবম শ্রেণির এক স্কুল ছাত্রকে পিটিয়ে মৌখিক ছাড়পত্র দিয়ে স্কুলে থেকে বের করে দেন। স্কুল থেকে বের করে দেওয়ায় ক্ষোভে অভিমানে স্কুল ছাত্র হানিফ রাতে বিষপানে আত্মহত্যা করেন। হানিফ উপজেলা হানিফ হাটাবো ত্রিশকাহনিয়া এলাকার আজাহার হোসেনের ছেলে।    

নিহতের চাচা আব্দুর রহিম জানান, তার ভাতিজা হানিফকে স্কুলে গিয়ে পাশের বাড়ি মেয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলতে দেখে সাত্তার জুট মিল স্কুলের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদসহ শিক্ষকরা শাসনের নামে নানাভাবে অপমান করে। এমনকি শারীরিক শাস্তি দিয়ে পরবর্তীতে আর বিদ্যালয়ে না আসার কথা বলে। ছাড়পত্র দিয়ে বের করার হুমকী দেয় শিক্ষকরা। পরে হানিফ অভিমান করে বাড়িতে গিয়ে বিষপান করে। আহত অবস্থায় হানিফকে রূপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। 

নিহত হানিফের সহপাঠী শান্ত জানায়, প্রেম করার অপরাধে শিক্ষকরা হানিফকে মারধর করে এবং স্কুল ছেড়ে দিতে বলায় অভিমান করেছে। ৯ম শ্রেণির ছাত্র হানিফ একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে  আসছিলো দীর্ঘদিন ধরে। তারা স্কুল বারান্দায় কিংবা আশপাশে সুযোগ পেলেই কথাবার্তা বলতো। এমন প্রেমের সম্পর্ক সহপাঠীদের মাধ্যমে জেনে যায় শিক্ষকরা। 

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, শিক্ষার্থীরা অপরাধ করলে শিক্ষকরা শাসন করবেই। এটা যদি অপরাধ হয় তবে কোন জবাব নেই। আসল ঘটনা হলো, হানিফ ৯ম শ্রেণীর ছাত্র।  সে ৭ম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে স্কুলের বিভিন্ন স্থানে কথাবার্তাসহ নানা অনিয়ম করে। এমন অভিযোগ থাকার পর শিক্ষকরা নজরদারি করে। ঘটনার দিন টিফিনের সময় বিদ্যালয়ের দায়িত্বরত গণিত শিক্ষক  আহমেদুল কবির এবং ক্রীড়া শিক্ষক ইয়াকুব মিয়া তাদেরকে সিড়িতে কথাবার্তা বলতে দেখে। এ সময় তাদের মৌখিক শাসন করে। পরে যথারীতি বিদ্যালয় ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে হানিফের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে মর্মাহত হয়েছি। ছাড়পত্র দেওয়ায় কোন ঘটনা ঘটেনি। 

এ ব্যাপারে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোন অভিযোগ দেওয়া হয়নি। পরিবারের কাছ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা মামলা নিব।