ফাইল ছবি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনয়ন নিয়ে চলা দীর্ঘ নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান।
মনোনয়ন ঘোষণার পরপরই আসনটিতে দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে নতুন করে চাঙ্গাভাব ও নির্বাচনী উচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, দলের দুঃসময়ে রাজপথে থাকা একজন ত্যাগী নেতাকে সামনে রেখে এবার জয়ের প্রত্যাশা আরও বেড়েছে।
স্থানীয় বিএনপি সূত্রে জানা যায়, আগের মনোনীত প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ মনোনয়ন পেয়েও নির্বাচন না করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্তের পর দলীয়ভাবে নতুন করে পর্যালোচনা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে মনোনয়ন দেওয়া হয়। এ সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণাই মাসুদুজ্জামানের জন্য মনোনয়ন হারানোর অন্যতম কারণ হয়েছে।
নেতাকর্মীদের ভাষ্য অনুযায়ী, অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান দীর্ঘদিন ধরে দলীয় আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনের সময় হামলা, মামলা ও নানা নির্যাতনের শিকার হওয়া নেতাদের একজন হিসেবে তাকে মূল্যায়ন করা হচ্ছে। ফলে একজন পরীক্ষিত ও ত্যাগী নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় মাঠ পর্যায়ের কর্মীরা নিজেদের আরও সম্পৃক্ত মনে করছেন। অনেকেই বলছেন, এবার ব্যক্তি কেন্দ্রিক দ্বিধা নয়, দল ও প্রতীকের প্রশ্নে সবাই এক কাতারে আসতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে স্থানীয় একাধিক বিএনপি নেতা জানান, মাসুদুজ্জামান মাসুদ দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ও উদার মানসিকতার মানুষ ছিলেন। অতীতেও তিনি নেতা-কর্মীদের সুখে দুঃখে পাশে থেকেছেন এবং কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মেনে সবাই তার সঙ্গে ধানের শীষের পক্ষে কাজ করেছেন। তবে দল যখন নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন সেই সিদ্ধান্ত মেনে নেওয়াই দলের প্রতি আনুগত্যের অংশ।
তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীরা আরও বলেন, বিএনপিতে ব্যক্তি নয়, দলই মুখ্য। দল যাকে মনোনয়ন দেয়, সবাই তার পক্ষেই কাজ করবে। ধানের শীষ প্রতীকই আমাদের মূল শক্তি। অ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খানকে সামনে রেখে এবার সাংগঠনিকভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে দল।
নেতাকর্মীদের আশা, আন্দোলন সংগ্রামে পরীক্ষিত নেতৃত্ব এবং তৃণমূলের এই ঐক্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনবে। নির্বাচনী প্রচারণা ঘিরে ইতোমধ্যে বিভিন্ন ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ে প্রস্তুতি সভা এবং মতবিনিময় শুরু হয়েছে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।

