শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

|

পৌষ ৪ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

হাদির মৃত্যুতে জামায়াতের বিক্ষোভ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:২৮, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

হাদির মৃত্যুতে জামায়াতের বিক্ষোভ

ফাইল ছবি

​ইনকিলাব মঞ্চের মূখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী শরীফ ওসমান হাদির ওপর বর্বরোচিত হামলা ও তার শাহাদাতের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠেছে নারায়ণগঞ্জ। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাদ জুম'আ নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে এক বিশাল বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

​বিক্ষোভ মিছিলটি শহরের মিশনপাড়া মোড় থেকে শুরু হয়ে চাষাঢ়া ও বিবি রোড প্রদক্ষিণ করে ২নং রেলগেট হয়ে পুনরায় চাষাঢ়া মোড়ে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। মিছিলে জামায়াতে ইসলামীর বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী ও সাধারণ জনতা অংশ নিয়ে হাদি হত্যার বিচার দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

​বিক্ষোভ মিছিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ। সমাবেশে তিনি বলেন, "ইনকিলাব মঞ্চের সভাপতি শরীফ ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই বিপ্লবের এক নির্ভীক যোদ্ধা। যারা চব্বিশের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানকে মেনে নিতে পারেনি এবং যারা পরাজিত শক্তির দোসর, তারাই সুপরিকল্পিতভাবে হাদিকে হত্যা করেছে। আজকে তার মৃত্যুতে সারা বাংলাদেশের মানুষ শোকাহত।"

​তিনি আরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "এক হাদিকে হত্যা করে দেশের লক্ষ লক্ষ হাদিকে অন্তরালে রাখা যাবে না। আমরা ভারতকে স্পষ্ট জানিয়ে দিতে চাই, আপনারা প্রতিবেশীর মতো থাকুন, আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করবেন না।" তিনি অনতিবিলম্বে এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত মূল হোতাদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

​সমাবেশ শেষে নিহত শরীফ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে ধৈর্য ধারণ করার তৌফিক চেয়ে দোয়া করেন মাওলানা মইনুদ্দিন আহমাদ।

​বিক্ষোভ মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য নারায়ণগঞ্জ মহানগরী জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম, সেক্রেটারি ইঞ্জিনিয়ার মানোয়ার হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি মুহাম্মদ জামাল হোসাইন, সহকারী সেক্রেটারি এইচ এম নাসির উদ্দিন এবং শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি হাফেজ আব্দুল মোমিনসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য ১২ ডিসেম্বর ঢাকার বিজয়নগরে শরীফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হন এবং চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর রাতে তিনি ইন্তেকাল করেন, তার মৃত্যুর খবর শুনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষোভ নিয়ে রাস্তায়  নেমে আসে, ১৯ ডিসেম্বর সারা দেশে তার মৃত্যুতে শোক ও বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।