শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪

|

বৈশাখ ৬ ১৪৩১

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

কাউন্সিলের আগে সময় স্বল্পতায় বহাল থাকছে সোনারগাঁ আড়াইহাজারের ৫ ইউনিট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২১:৫৮, ৫ জুন ২০২৩

কাউন্সিলের আগে সময় স্বল্পতায় বহাল থাকছে সোনারগাঁ আড়াইহাজারের ৫ ইউনিট

প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কাউন্সিলের আগে সোনারগাঁ ও আড়াহাজারের ৫টি ইউনিট কমিটি ভেঙ্গে নতুন করে করার কথা জেলা বিএনপির চিন্তা ভাবনা করলেও সময় স্বল্পতার কারণে সে চিন্তা থেকে সরে এসেছে দল।

এর আগে ১৭ জুন জেলা বিএনপির কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করে জেলা বিএনপি নেতারা। কেন্দ্রের নির্দেশে ও পরামর্শে এবং জেলা বিএনপির নেতাদের সাথে আলোচনা করে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।

জানা যায়, জেলা বিএনপির অধীনস্থ ১০টি ইউনিট গুলো হলো- ফতুল্লা থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানা, আড়াইহাজার উপজেলা, রূপগঞ্জ উপজেলা, সোনারগাঁ উপজেলা, সোনারগাঁ পৌরসভা, আড়াইহাজার পৌরসভা, গোপালদী পৌরসভা, তারাব পৌরসভা, কাঞ্চন পৌরসভা। এর মধ্যে ফতুল্লা থানা বিএনপির কমিটি পূর্ণাঙ্গ হয়নি। ১০ টি ইউনিট কমিটির মধ্যে বর্তমান জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটি ৫টি ইউনিট ঘোষণা করেছে যার মধ্যে ফতুল্লা পূর্ণাঙ্গ হওয়া বাকি আছে। সোনারগাঁ উপজেলা, সোনারগাঁ পৌরসভা, আড়াইহাজার উপজেলা, আড়াইহাজার পৌরসভা, গোপালদী পৌরসভার কমিটি জেলা বিএনপির বিগত আহবায়ক কমিটি ঘোষণা করে গিয়েছিল। এর মধ্যে কাউন্সিল তথ্যা ভোট ছাড়া সোনারগাঁ থানা, পৌরসভাসহ কয়েকটি কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলটির নেতাকর্মীরা।

দলীয় সুত্রমতে, ১০ টি ইউনিট বিএনপির ১০১ সদস্য করে সর্বমোট ১০১০ জন কাউন্সিলর আসন্ন জেলা বিএনপির কাউন্সিলে ভোট দিয়ে জেলা বিএনপির ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব নির্বাচন করবে। এর মধ্যে কেন্দ্রীয় বিএনপি নেতারা, জেলা বিএনপির কেন্দ্রে পদায়ন হওয়া নেতারা, জেলা বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা ডেলিগেট হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।  

এদিকে জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক কমিটি থাকাকালীন সময়ে ৫টি ইউনিট কমিটি না হওয়ায় এসব কমিটি নতুন করে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয় দল। এর মধ্যে দুটি ইউনিটে সম্মেলন ছাড়াই কমিটি হওয়ায় এটি বিলুপ্তের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। তবে কাউন্সিলকে সামনে রেখে এবং সময় স্বল্পতায় আপাতত সেই সিদ্ধান্ত কাউন্সিলের আগে বাস্তবায়ন করবেনা দল এমনটাই জানা গেছে। 

জেলা বিএনপি নেতারা জানান, কাউন্সিলে ১০১ জন করে প্রতি ইউনিটের ভোটার থাকার কথা থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে আলাপ করে যেহেতু এখন বিরোধী দলের সময় ও কাউন্সিল সুন্দরভাবে করতে হবে তাই পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে ভোটারের সংখ্যা কমবেশী হতে পারে।

এর আগে ২০০৩ সালে শহরের চাষাঢ়ায় বিএনপির ক্ষমতাকালীন সময়ে জিয়া হলে দলের কাউন্সিলে ভোটের মাধ্যমে সভাপতি নির্বাচিত হন সাবেক প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত অধ্যাপক রেজাউল করিম, সাধারণ সম্পাদক হন বিএনপির বহিষ্কৃত নেতা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার ও সিনিয়র সহ সভাপতি হন জেলা বিএনপির আহবায়ক ও তৎকালীন সংসদ সদস্য গিয়াসউদ্দিন।

সর্বশেষ ২০০৯ সালে শহরের আলী আহমেদ চুনকা পাঠাগারে দলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তৈমূরকে সভাপতি ও কাজী মনিরুজ্জামানকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত করেন কাউন্সিলররা।

এবার কাউন্সিলে সভাপতি প্রার্থী হিসেবে নাম শোনা যাচ্ছে জেলা বিএনপির বর্তমান আহবায়ক মুহাম্মদ গিয়াসউদ্দিনের, যুগ্ম আহবায়ক মামুন মাহমুদের, সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হিসেবে জোরালো আলোচনায় আছেন বর্তমান সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন ও যুগ্ম আহবায়ক মাসুকুল ইসলাম রাজীব। তাদের ঘিরে ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসব বিভিন্ন মাধ্যমে নেতাকর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তাদের অনুগতরা।

জেলা বিএনপির সদস্য সচিব গোলাম ফারুক খোকন জানান, আমরা কাউন্সিলের জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছি। এর মধ্যে আমাদের নেতাকর্মীরা কাউন্সিলের খবরে উচ্ছ্বাসিত। সবার সাথে আলোচনা করে ও কেন্দ্রের সাথে সমন্বয় করে একটি সুন্দর কাউন্সিল জেলা বিএনপি করতে পারবে বলে আমরা আশাবাদী। এই কাউন্সিলে জেলা বিএনপির জন্য উপযুক্ত নেতৃত্ব কাউন্সিলররা বেছে নেবে বলে আমার বিশ্বাস।