ফাইল ছবি
আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হওয়া দেওভোগ শেখ রাসেল পার্ক এলাকার গার্মেন্টস কর্মী রাসেল ওরফে তেল রাসেল ও তার পরিবার দলবদল করে এখন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হতে চায়। স্বৈরাচারী আওয়ামী শাসনামলে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের চাটুকারিতা করে যেভাবে নানা অপকর্ম করেছে, এখনও সেভাবেই বিএনপির কতিপয় নেতার চাটুকারিতা করে সেই সকল অপকর্ম বজায় রাখতে মরিয়া রাসেল ও তার পরিবারের সদস্যরা।
জানা গেছে, ২০০৮ সালের আগেও গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতো এই রাসেল। ২০০৮ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় আসার পর পাল্টে যায় রাসেলের ভাগ্য। এসময় ছিনতাই, মদ-বিয়ার, গাজা-হেরোইন ও অন্যান্য মাদক ব্যবসা, ভুমিদস্যুতাসহ নানা অপকর্ম করে গার্মেন্টস শ্রমিক থেকে হন কোটিপতি। কুখ্যাত সন্ত্রাসী আজমেরী ওসমান, মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহ নিজাম, সাংগঠনিক সম্পাদক জি এম আরাফাত, আড়াইহাজারের সদ্য সাবেক এমপি নজরুল ইসলাম বাবুসহ একাধিক নেতার পা চেটে দেওভোগ এলাকায় কায়েম করে সন্ত্রাসের রাজত্ব।
এমনকি ছিনতাই করতে গিয়ে তার ভাই রাজীব, মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে রাসেল নিজে এবং অন্যান্য অপকর্ম করার সময় তার পরিবারের সদস্যরা বেশ কয়েকবার পুলিশের হাতে গ্রেফতারও হয়। তবে, আওয়ামীলীগের রাজনীতিতে জড়িয়ে এতোসব অপকর্মকারী রাসেল, এখন বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত হতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এ লক্ষ্যে বিএনপির কয়েকজন নেতাকে রাসেল ওরফে তেল রাসেল ইতিমধ্যেই ভুলভাল বুঝিয়েছে বলে জানা গেছে। দেওভোগ এলাকায় বিএনপির একজন ত্যাগী নেতার ভাই-ভাতিজা, ভাগিনার পা ধরে বিএনপির রাজনীতি করার সুযোগ চেয়েছে বলেও জানা গেছে। অত্যন্ত সুচতুর এই রাসেলের ফাঁদে পা ইতিমধ্যেই পা দিয়েছেন কয়েকজন বিএনপি নেতা। গত ২দিন যাবৎ রাসেলকে বিএনপির ঐসব নেতার পিছনে হাঠতে দেখা গেছে। যা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে স্থানীয়রা।
স্থানীয়রা বলছে, কুখ্যাত এই আওয়ামীলীগার রাসেল ওরফে তেল রাসেল, তার ভাই রাজীবসহ পুরো পরিবার সারাজীবন আওয়ামীলীগের রাজনীতি করে মানুষের সাথে নানা অন্যায়, অত্যাচার, জুলুম-নির্যাতন করেছে। এ ধরনের ব্যক্তি যদি বর্তমানে বিএনপি নেতাদের সাথে মিশে আবারও সেই অপকর্ম শুরু করে, তাহলে ছাত্র-জনতার যে অর্জন, গণঅভ্যুত্থানের ফলে বিএনপির যে অর্জন তা ম্লান হতে পারে। তাই, বিএনপি নেতাকর্মীদের উচিত এ ধরনের পল্টিবাজদের কোনো আশ্রয় প্রশ্রয় না দেয়া।