সোমবার, ১৮ আগস্ট ২০২৫

|

ভাদ্র ১ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

শিক্ষকতার সাথে রাজনীতি, পুলিশের দড়ি কোমড়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মামুন মাহমুদ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ১৭:৪২, ১৭ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১৭:৪৬, ১৭ আগস্ট ২০২৫

শিক্ষকতার সাথে রাজনীতি, পুলিশের দড়ি কোমড়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন মামুন মাহমুদ

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মাহমুদ বর্তমানে রয়েছেন আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনে আগামী নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে অনেকেই তার নাম এগিয়ে রাখছেন। অধ্যাপক হিসেবে পরিচিত এই বিএনপি নেতা দীর্ঘদিন যাবৎ রাজনীতিতে সক্রিয় রয়েছেন। বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত থাকার বহুবার জেলেও যেতে হয়েছে মামুন মাহমুদকে।

ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় মামুন মাহমুদের। পরবর্তীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের শীর্ষ নেতৃত্বেও দেখা গেছে মামুন মাহমুদকে। এসময় রাজনীতির পাশাপাশি শিক্ষকতার সাথেও জড়িত হয়ে যান মামুন মাহমুদ। দীর্ঘদিন বেসরকারি একটি কলেজে অধ্যাপনা করেন তিনি।

২০১৭ সালে জেলা বিএনপির সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান মামুন মাহমুদ। ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন মামুন মাহমুদের নেতৃত্বেই লড়ে নারায়ণগঞ্জ বিএনপি।

পরবর্তীতে ২০২১ সালে পুনরায় জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলে আবারও সদস্য সচিবের দায়িত্ব পান মামুন মাহমুদ। সিটি নির্বাচনে অংশ নিয়ে তৈমূর দল থেকে বহিষ্কার হলে একাই দলকে টেনে নিয়ে যান মামুন মাহমুদ। শহরের চাষাঢ়া এলাকায় একের পর এক সভা সমাবেশ করে নারায়ণগঞ্জ শহরে বিএনপির রাজনীতি টিকিয়ে রাখেন তিনি।

২০২২ সালে পুনরায় নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির কমিটি ঘোষণা করা হলে সেই কমিটিতেও প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন মামুন মাহমুদ। সর্বশেষ ২০২৫ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক করা হয় মামুন মাহমুদকে।

বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকায় মামুন মাহমুদকে বারবার কারানির্যাতিত হতে হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় রাজনৈতিক মামলা ছিল। এসকল মামলায় প্রতিনিয়তই কোর্টে হাজিরা দিতে হত মামুন মাহমুদকে। আওয়ামী লীগের আমলে আন্দোলন ঠেকাতে বেশ কয়েকবার মামুন মাহমুদকে জেলে বন্দী করেছিল আওয়ামী লীগ সরকার। এসময় কোমড়ে দড়ি বেঁধে তাকে আদালতে হাজির করতেও দেখা গেছে।