
ফাইল ছবি
সময়ের প্রয়োজনে দেশের প্রয়োজনে রাজনীতিতে যার আবির্ভাব তিনি হলেন মাসুকুল ইসলাম রাজিব। দেশের বাইরে ব্যাঙ্গালোর ইউনিভার্সিটি থেকে লেখাপড়া শেষ করে যখন দেশে ফিরেন উচ্চ বেতনের চাকুরির প্রলোভন তার সামনে ছিলো ছিলো বিলাসী জীবনের হাতছানি তার উপর বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান হিসাবে যার উপর ছিলো বাবা মায়ের অনেক সপ্ন কিন্তু সবকিছুকেই পিছনে ফেলে তিনি রাজনীতিকেই বেছে নিলেন শুধুমাত্র দেশের মানুষের জন্য কিছু করার আকাঙ্ক্ষা থেকে। যেই রাজনীতির বীজ তার মনে বপন হয়েছিলো ছাত্রজীবনে তিনি যখন স্কুলের গন্ডিও পেরুননি সেই সময় কোন এক অনুষ্ঠানে শহীদ রাস্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কাছ থেকে দেখার পর এবং তৎকালীন সময়ে জিয়াউর রহমান একজন রাস্ট্রপতি হয়েও যেভাবে মানুষের সাথে মিশেছেন সেটাই তার মনে জায়গা করে নেয়। রাজনীতির শুরুটা তার জন্য সহজ ছিলো না তখন সারা বাংলাদেশে সন্ত্রাসের জনপদ হিসাবে নারায়ণগঞ্জ সারা দেশের মানুষের কাছে পরিচয় পেয়েছিলো সন্ত্রাসের গডফাদার শামীম ওসমানের কারনে। শুধু বিএনপির রাজনীতি করার কারনে তাকে নির্মম নির্যাতনের পর পায়ে গুলি করা হয় এবং শুধু গুলি করেই ক্ষান্ত হননি তাকে সঠিক চিকিৎসার সুযোগটুকুও দেওয়া হয়নি তারপরও তিনি রাজনীতি পিছপা হননি। ধারাবাহিকভাবে অগনিত মামলার শিকার হয়েছেন তখন থেকে। মাসুকুল ইসলাম রাজিব ছাত্ররাজনীতির শুরুতে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ন সম্পাদক, সরকারি তোলারাম কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সদস্য, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের ছাত্র ছাত্রী সংসদের ভিপি নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের আহবায়ক থেকে নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সর্বশেষ এখন পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক পদে অধিষ্ঠিত আছেন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় ৬৭ টি মামলার শিকার হয়ে বার বার কারাভোগ করেছেন। তিনি দলের আনুগত্যের ব্যাপারে তার মনোভাব আপোষহীন। যার উদাহরণ তিনি রেখে গেছেন বিগত সময়ে। জেলা বিএনপির সম্মেলনে কাউন্সিলরদের ভোটে নিশ্চিত সাধারণ সম্পাদক হবেন জেনেও সরে গেছেন দলের চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে। জিয়াউর রহমানের সেই উক্তি - ব্যাক্তির চেয়ে দল দলের চেয়ে দেশ বড় তার আনুগত্য সেটাই মনে করিয়ে দেয় যার ফলশ্রুতিতে দেশনায়ক তারেক রহমান তার বক্তব্যে মাসুকুল ইসলাম রাজিবের দলের প্রতি আত্ন নিবেদন এবং আনুগত্যর প্রশংসা করেন যেটা জাতীয়তাবাদী দলের একজন কর্মীর জন্য অনেক বড় পাওয়া। শুধু আনুগত্যর উদাহরণই তিনি রাখেননি দল যখন তাকে যেখানেই দায়িত্ব দিয়েছেন তিনি তার সর্বোচ্চ দিয়ে সেই দায়িত্ব পুরা করেছেন। দলের মধ্যে বিভাজন দূর করার জন্য ঐক্যর ডাক দিয়েছেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপিকে ঐক্যবদ্ধ শক্তিশালী সংগঠনে রূপান্তরিত করেছেন।আজকে নারায়ণগঞ্জ এর প্রতিটি থানায় উপজেলা ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত তার হাতে তৈরি অসংখ্য নেতা কর্মী নিষ্ঠার সাথে দলের বিভিন্ন অংগ ও সহযোগী সংগঠনের দায়িত্ব পালন করছেন। জুলাই বিপ্লবের ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় তিনি ছিলেন সম্মুখ সাড়িতে দলের কর্মী সমর্থকদের নিয়ে। ছাত্র জনতার বিপ্লবের পর দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এর নির্দেশে নারায়ণগঞ্জ এর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য, মানুষের জান মালের নিরাপত্তার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন পাশাপাশি দলের জন্য দলকে শক্তিশালী করার জন্য তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা নিয়ে মানুষের কাছে যাচ্ছেন এবং আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মানে দলের পরিকল্পনা মানুষের কাছে তুলে ধরছেন।উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কৃষিখাতে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে তিনি সোনারগাঁওয়ের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কৃষকদের নিয়ে কর্মশালা করে কৃষকদের নিয়ে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন। তিনি এমন একজন সত্যিকার নেতা তাঁর নিজের স্বপ্ন ছড়িয়ে দিতে পারেন বহু মানুষের মাঝে যার ফলশ্রুতিতে দলের কর্মী সমর্থক থেকে শুরু করে আপামর জনতার কাছে তিনি আস্থার প্রতিক হিসাবে পরিচিতি পেয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ এর রাস্তাঘাটের সমস্যা, যানযট, থেকে শুরু করে জলাবদ্ধতা নিরসনে তার ভূমিকা মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। ফতুল্লাবাসীর দীর্ঘদিনের ভোগান্তি জলাবদ্ধতার সমাধানের জন্য তিনি নিজে পানিতে নেমেছেন বাড়ি বাড়ি গেছেন মানুষের কথা শুনেছেন কিভাবে স্থায়ী সমাধান করা যায় সেই চেস্টা করে যাচ্ছেন, হাজীগঞ্জ কিল্লারপুলের ভাংগা রাস্তার সমাধানে তিনি জনভোগান্তির কথা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের কাছে তুলে ধরেছেন এবং সাময়িক সংস্কারের ব্যাবস্থাও করেছেন। জনগনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নে শুধু প্রতিশ্রুতি নয় বাস্তবায়নের জন্য নিরলসভাবে তিনি কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি তার কাজের মাধ্যমে জনগণের হৃদয় স্থান করে নিয়েছেন। নেতৃত্বকে রাজীব ভাই ক্ষমতার প্রদর্শনের জায়গা না বানিয়ে মানুষের আস্থার জায়গা বানানোর জন্য চেষ্টা করছেন। সবকিছু মিলিয়ে মানুষ চায় পরিবর্তন আর দায়িত্বশীল নেতৃত্ব যারা কাজের মাধ্যমে জনগণের চাহিদা পূরন করবেন। রাজিব ভাইয়ের নেতৃত্বের প্রতি আস্থাশীল হয়ে ফতুল্লায় এখন গন জোয়ার উঠেছে রাজিব ভাইয়ের জন্য, ফতুল্লার জনগন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে রাজিব ভাই কে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করে জনপ্রতিনিধি হিসাবে তাদের অধিকার আদায়ে পেতে চায়।
লিখক : হাসান মেহেদী শ্যামল
সাবেক তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদের নির্বাচিত ছাত্র প্রতিনিধি ও ছাত্রদল নেতা।