
ফাইল ছবি
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৫০তম শাহাদাৎ বার্ষিকী নিরবে নিস্তব্ধে কেটে গেছে। প্রশাসনের সর্তকতা ও বিএনপি নেতাকর্মীরা রাজপথে থাকার কারনে বন্দরে এবার কোনো আয়োজন, দোয়া মাহফিল বা প্রকাশ্য কর্মসূচি পালন করেনি নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। দীর্ঘদিন ধরে দিনটিকে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করলেও গত দুই বছর ধরে দলটি এ দিবসে নিস্তব্ধ রয়েছে।
১৪ আগস্ট সন্ধ্যা থেকে বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় ছিলো বিএনপির অবস্থান কর্মসূচি এবং প্রশাসনের কঠোর অবস্থান। রাজনৈতিক উত্তেজনা ও নিরাপত্তা পরিস্থিতির কারণে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে নামেননি। তবে গোপন স্থানে থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমিত আকারে সক্রিয় ছিলেন তারা।
২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগে দিনটিকে ব্যাপক আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালন করত আওয়ামী লীগ। কিন্তু সেই বছরের গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক বাস্তবতায় টানা দুই বছর ধরে দলটি এ দিবসে নিরবতা পালন করছে।
অন্যদিকে, দিনভর বন্দরের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য যে কোনো কর্মসূচি ঠেকাতে বিএনপিকে মহড়া দিতে দেখা গেছে। দলটির নেতাকর্মীরা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কৌশলগতভাবে এলাকায় অবস্থান নেন।
উল্লেখ্য, এর আগে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার আওয়ামী লীগের সব ধরনের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল, যার প্রভাব এখনও মাঠপর্যায়ে স্পষ্ট।