
ফাইল ছবি
শুক্রবার সকাল থেকেই জেলাজুড়ে বিরাজ করছিল থমথমে অবস্থা। জেলার সাইনবোর্ড, চিটাগাংরোড, জালকুড়ি, ভূঁইগড়, চাষাঢ়াসহ বেশকিছু স্পটে দলবেঁধে অবস্থান নেয় আন্দোলনকারীরা। কোথাও সড়ক বিভাজকের কিছু অংশ তুলে, কোথাও গাছ ফেলে সড়কে অবরোধ তৈরি করা হয়। এদিন লিংক রোড, চাষাঢ়া, জালকুড়ি, দেওভোগে শামীম ওসমানের নেতৃত্বে সশস্ত্র হামলা চালানো হয় আন্দোলনকারীদের উপর। মুহু মুহু গুলি চালায় তারা আন্দোলনকারীদের উপর। এক পর্যায়ে তাদের গুলি ফুরিয়ে এলে ছাত্র-জনতা দখলে নেয় রাজপথ।
বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। আন্দোলনকারীদের উপর নির্বিচারে গুলির ফলে ফুঁসে উঠে নারায়ণগঞ্জ। এর তীব্র প্রতিক্রিয়ায় গুলি চালানো শামীম ওসমানের ক্যাডার শাহ নিজামের মালিকানাধীন ফতুল্লায় অবস্থিত নাসিম ওসমান মেমোরিয়াল পার্ক (নম পার্ক), গুলি চালানোর আগে নেতাকর্মীদের জড়ো করা ক্যান্টনমেন্টখ্যাত নারায়ণগঞ্জ ক্লাব, আন্দোলনকারীদের উপর গুলি চালানো রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠান এসবি গার্মেন্টসহ আরো বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। জালকুড়িতে শামীম ওসমানের মালিকানাধীন বাস কোম্পানি শীতল পরিবহনের ডিপোতে বিক্ষোভ মিছিল করে শীতল পরিবহনের ২৬টি বাসে আগুন দেওয়া হয়।