
ফাইল ছবি
আগের কয়েকদিনের মতো এদিনও বেলা ১১টায় শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়া ও দুই নম্বর রেলগেইটে পূর্বঘোষণা অনুযায়ী জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনকারীদের দমাতে পুলিশ টিয়ারগ্যাস ও গুলি ছুড়লে চাষাঢ়ায় পুলিশের দুটি গাড়ি ভাঙচুর করা হলে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশ আন্দোলনরতদের ওপর জলকামান, টিয়ারশেল ও গুলি নিক্ষেপ করে।
অন্যদিকে, আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। বিকেল পর্যন্ত চলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। ছাত্র-জনতার ওপর বিকেলে সশস্ত্র হামলা চালায় ছাত্রলীগের ক্যাডাররা। এর মাঝে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বিশাল মিছিল নিয়ে শহরের ডিআইটি থেকে চাষাঢ়ায় এলে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের সংঘর্ষ হয়।
এর জেরে সন্ধ্যার পর থেকেই বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক আকারে প্রতিক্রিয়া দেখায় নারায়ণগঞ্জের ছাত্র-জনতা। প্রতিক্রিয়ায় টিয়ারগ্যাস ও গুলি করে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করলেও আন্দোলন দমেনি। ব্যাপক গুলি করা হয় সাইনবোর্ড এলাকায়। একপর্যায়ে গুলি শেষ হয়ে গেলে পুলিশ পিছু হটে। ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয় জেলা পিবিআই কার্যালয়, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস, শহরের দুই নম্বর রেলগেটের পুলিশ বক্স, জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের অফিস।