বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫

|

কার্তিক ২০ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

নারায়ণগঞ্জে পেয়াজের সেঞ্চুরি পার!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:০৩, ৫ নভেম্বর ২০২৫

নারায়ণগঞ্জে পেয়াজের সেঞ্চুরি পার!

ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের বাজারে হু হু করে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় রান্নার গুরুত্বপূর্ণ উপকরণটির দাম বাড়ায় চিন্তিত ভোক্তারা। খুচরা বাজারে সরবরাহে টান না পড়লেও দরকষাকষিতে বিরক্ত দোকানিরা। তারা বলছেন দ্রুত পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিলে দেশের বাজারে দাম কমবে। অন্যদিকে বেপারীরা বলছেন, চাষিদের সুরক্ষা দিতে এখনি আমদানি না করে নতুন পেঁয়াজ আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করা ভালো হবে। 

বুধবার (৫ নভেম্বর) দিগুবাবুর বাজারের আড়তে দেখা গেছে দেশি ছোট পেঁয়াজ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। বড় পেঁয়াজ ১০০ টাকা। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭৫ থেকে সর্বোচ্চ ৮৫ টাকায়। এখন খুচরা বাজারে ছোট পেঁয়াজ ১০০ টাকা, বড় পেঁয়াজ ১১০-১১৫ টাকা। 

মো. কামাল উদ্দিন বলেন, আড়তদারদের কাছে বেপারীরা পেঁয়াজ বিক্রি করতে দেন। তারা যে দামে বিক্রি করতে বলেন আমরা সেই দামে বিক্রি করি। বাজারে সরবরাহ বাড়লে দাম কমে, সরবরাহ কমলে দাম বাড়ে। এখন জোগান কম তাই চাহিদা অটোমেটিক বেড়ে যাচ্ছে। এখানে সিন্ডিকেট, কারসাজি বলতে কিছুই নেই। পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য। এ ধরনের পণ্যে সিন্ডিকেট করা যায় না। কুষ্টিয়া, রাজবাড়ী, ফরিদপুর, পাবনা থেকে পেঁয়াজ আসছে। সেখানে পেঁয়াজের চাহিদা বেশি, জোগান কম। ৪ হাজার টাকার নিচে পেঁয়াজের মণ নেই। সেই তুলনায় পেঁয়াজের দাম কম।  

পেঁয়াজ বেপারী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, মৌসুমের শেষ দিক হওয়ায় পেঁয়াজের জোগান কম। তাই পেঁয়াজের দাম একটু বাড়ছে। এখন সবাই বিক্রি করে পেঁয়াজের বীজ, দানা লাগাচ্ছে। পাবনা থেকে এক গাড়ি পেঁয়াজ আনি ১৪ টন, ৩০৫-৩১০ বস্তা। পাবনায় পেঁয়াজ কিনেছি কেজি ১০০ টাকা। এখানে ৯৫-৯৮ টাকা চলছে। সরকারি যদি আইপি ইস্যু করে চাষি মার খাবে। কারণ আগামী ২০-৩০ দিনের মধ্যে দেশে মুড়িকাটা বা হালি পেঁয়াজ আসবে। আট মাস দেশ চললো, এক মাস চলবে না? দেশের কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।   

আড়তদারেরা জানিয়েছেন, সরকারের কৃষি মন্ত্রণালয় ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় পেঁয়াজের দাম নিয়ে কাজ করছে। ১৫-২০ দিনের মধ্যে নতুন পেঁয়াজ বাজারে আসতে পারে। আট হাজার এয়ার ফ্লো মেশিন বসানো হয়েছে, যেখানে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ সংরক্ষিত রয়েছে। ভোক্তা অধিদপ্তর, ট্যারিফ কমিশনও পেঁয়াজের বাজার ও মাঠ পর্যায়ে খোঁজ নিচ্ছে। ঘাটতি থাকলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হতে পারে।