মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

|

কার্তিক ১৮ ১৪৩২

Advertisement
Narayanganj Post :: নারায়ণগঞ্জ পোস্ট

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সেলিম প্রধান রিমান্ডে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

প্রকাশিত: ২০:৫৭, ৩ নভেম্বর ২০২৫

সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় সেলিম প্রধান রিমান্ডে

ফাইল ছবি

রাজধানীর গুলশান থানার সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় ক্যাসিনোকাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 
সোমবার (০৩ নভেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান রিমান্ডের এ আদেশ দেন। 

এ মামলায় গত ২২ অক্টোবর সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. মোজাম্মেল হক মামুন তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। 

সেই রিমান্ড শুনানির জন্য সোমবার তাকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তদন্ত কর্মকর্তা রিমান্ড আবেদনের শুনানি করেন। 

আসামিপক্ষে আইনজীবী রিমান্ড বাতিলসহ জামিন আবেদন করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। 

গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশান থানার বারিধারার ডিপ্লোম্যাটিক জোনের ‘নেক্সাস ক্যাপে প্যালেস’ রেস্টুরেন্ট থেকে মাদকসহ সেলিম প্রধানকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত ২০ অক্টোবর তিনি মাদক মামলায় জামিন পান। তবে মুক্তির আগেই রাজধানীর গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় আওয়ামী লীগের মিছিলে অর্থ জোগানদাতা হিসেবে গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাকে। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সকাল ৭টায় গুলশান-১ এর ১৩৬ নম্বর রোডে জব্বার টাওয়ারের পাশে রাস্তার ওপর আসামিসহ আরও অজ্ঞাত ৩০-৩৫ জন ব্যক্তি ছাত্রলীগের অর্থদাতা, পরামর্শদাতা ও নির্দেশদাতারা সরকার ও রাষ্ট্রের জননিরাপত্তা বিঘ্ন ও ক্ষতিসাধনের ষড়যন্ত্র এবং ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশে সমবেত হয়। ওই সময়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের ব্যানারে ছাত্রলীগের সঙ্গে আওয়ামী লীগের অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা দেশবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলাটি করেন।

প্রসঙ্গত, গত ৫ সেপ্টেম্বর রাত আড়াইটার দিকে গুলশানের বারিধারার ‘নেক্সাস ক্যাফে পেলেস’ নামে একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করা হয়। সেখান থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি সিসা উদ্ধারের দাবিও জানায় পুলিশ। পরে গুলশান থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদুল হাসান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।