ফাইল ছবি
দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষা ও সাংগঠনিক তৎপরতার স্বীকৃতি হিসেবে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁও) আসনে দলের অন্যতম অভিজ্ঞ ও নিবেদিত নেতা আজহারুল ইসলাম মান্নানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন প্রদান করেছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে সোনারগাঁয়ের রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণ তৈরি হলো এবং নেতা-কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা দেখা দিয়েছে।
পরীক্ষিত নেতৃত্ব ও সাংগঠনিক দক্ষতা
আজহারুল ইসলাম মান্নান শুধু সোনারগাঁও উপজেলা বিএনপির সভাপতি নন, তিনি বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটিরও সদস্য। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি দলের দুঃসময়ে মাঠে সক্রিয় ছিলেন। দলের আদর্শ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় তাঁর বলিষ্ঠ ভূমিকা এবং স্থানীয় জনগণের সমস্যা, যেমন—বন্যা, দূষণ, ও বেকারত্ব নিয়ে তাঁর নিরলস কাজ তাঁকে সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয় করে তুলেছে।
দলীয় হাইকমান্ডের একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, সোনারগাঁওয়ের মাটি ও মানুষের সঙ্গে তাঁর নিবিড় সম্পর্ক এবং দলের প্রতি অবিচল আস্থা বিবেচনা করেই তাঁকে এই গুরুত্বপূর্ণ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।
ঐক্যের প্রতীক মান্নান
মান্নানের মনোনয়নের খবর আসার পর থেকেই সোনারগাঁওয়ের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা একাট্টা হয়ে মাঠে নেমেছেন। স্থানীয় নেতা-কর্মীরা মনে করছেন, অভিজ্ঞ এই নেতার নেতৃত্বে আসনটি এবার পুনরুদ্ধার করা সম্ভব।
সোনারগাঁওয়ের এক প্রবীণ বিএনপি নেতা বলেন, "আজহারুল ইসলাম মান্নান সাহেব বহু বছর ধরে এই আসনের মানুষের জন্য লড়েছেন। তাঁর মনোনয়নে আমাদের মধ্যে যে ঐক্য এসেছে, তা বিজয়ের পথ সুগম করবে। আমরা সবাই ধানের শীষকে জেতাতে প্রস্তুত।"
নির্বাচনী ইশতেহারের মূল ভাবনা
মনোনয়ন পাওয়ার পর আজহারুল ইসলাম মান্নান নির্বাচনী প্রচারণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি মূলত বিএনপির ঘোষিত ৩১-দফা সংস্কার অ্যাজেন্ডা-র সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্থানীয় সমস্যাগুলো তুলে ধরবেন। তাঁর প্ল্যাটফর্মে যুবক ও নারী ক্ষমতায়ন, দক্ষতা প্রশিক্ষণ, উদ্যোক্তা সহায়তা এবং নদীপথের চাঁদাবাজি ও সামাজিক অস্থিরতা দূর করার মতো বিষয়গুলো বিশেষভাবে স্থান পাবে।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন, নারায়ণগঞ্জ-৩ আসনটিতে এবার এক হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সম্ভাবনা তৈরি হলো।

