ফাইল ছবি
এক রাজনৈতিক ডামাডোলের মাঝে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর অন্যতম শক্তিধর নেতা মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া (দিপু ভূঁইয়া) অবশেষে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে দলের মনোনয়নপত্র হাতে পেলেন। দিপু ভূঁইয়ার এই মনোনয়ন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই রূপগঞ্জের বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে এক নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জ-১ আসন থেকে শক্ত প্রার্থী হিসেবে দিপু ভূঁইয়াকে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তিনি বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির প্রথম যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দলের সাংগঠনিক কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। একইসাথে, তিনি নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (NCCI) বর্তমান সভাপতির দায়িত্বেও রয়েছেন। তাঁর এই বহুমাত্রিক পরিচিতি তাঁকে স্থানীয় রাজনীতিতে আরও শক্তিশালী করে তুলেছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, রূপগঞ্জে দীর্ঘদিন ধরে দলের কঠিন সময়ে নেতা-কর্মীদের পাশে থাকা এবং নিরলস সাংগঠনিক তৎপরতার কারণেই দলীয় হাইকমান্ড তাঁর উপর আস্থা রেখেছে।
দিপু ভূঁইয়ার মনোনয়নের খবর নিশ্চিত হওয়ার পর রূপগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নেতা-কর্মীরা আনন্দ করেছেন। স্থানীয় নেতারা বলছেন, ক্লিন ইমেজ ও আপোসহীন মনোভাবের কারণে দিপু ভূঁইয়া সাধারণ ভোটারদের কাছে বেশ গ্রহণযোগ্য। এই মনোনয়নের মধ্য দিয়ে রূপগঞ্জে দলের জয় নিশ্চিত হবে বলে আশাবাদী তাঁরা।
গোলকন্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির এক সিনিয়র নেতা বলেন, "দিপু ভূঁইয়া ভাই সব সময় মাঠের কর্মীদের খোঁজ নিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে রূপগঞ্জে দল আরও সংগঠিত হবে এবং আমরা বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আসনটি পুনরুদ্ধার করতে পারব।"
দলীয় প্রতীক পাওয়ার পর মোস্তাফিজুর রহমান ভূঁইয়া দ্রুতই তাঁর নির্বাচনী প্রচারণার কৌশল সাজাতে শুরু করেছেন। জানা গেছে, রূপগঞ্জের স্থানীয় সমস্যা, বিশেষ করে নদী ভাঙন, শিল্প-কারখানার শ্রমিকদের অধিকার এবং অবকাঠামোগত উন্নয়নকে প্রাধান্য দিয়েই তিনি তাঁর ইশতেহার তৈরি করছেন।
দিপু ভূঁইয়ার মনোনয়নের ফলে নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের লড়াই এবার আরও আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে বলে মনে করছেন সবাই।

